নিজস্ব প্রতিনিধি: ফুটপাতে খাবারের ব্যবসা করতে হলে রাখতেই হবে ডাস্টবিন (DUSTBIN)। কলকাতা পুরসভার (KOLKATA MUNICIPALITY) মাসিক অধিবেশনে এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র (MAYOR) ফিরহাদ হাকিম। বাম কাউন্সিলরের এক সাপ্লিমেন্টরি প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ওয়ার্ডে আলোর ব্যবস্থা না থাকলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলা হয়েছে বাতি লাগানোর দায়িত্ব যেই সংস্থার হাতে, তাদেরকে রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, চলবে বিশেষ পোলিও অভিযান। প্রায় ৭ টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এই অধিবেশনে।
অধিবেশনে মেয়র বলেছেন, রাস্তায় অনেক ছোট খাবার দকান। আবর্জনা, উচ্ছিষ্ট রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। রাস্তা- শহর নোংরা হয় এতে। বেহাল হয় নিকাশি ব্যবস্থা। তাই সকলের উচিৎ খাবারের দোকান ফুটপাতে করলে ডাস্টবিন রাখা। না হলে রাস্তায় খাবারের ব্যবসা করা যাবে না।
শনিবারের অধিবেশনে বাম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্নে বলেন, তিনি ওয়ার্ডের জন্য বাতি চেয়েছিলেন কিন্তু বলা হয় স্টোরে বাতি নেই। তাই আধিকারিক দেননি। সেই উত্তরে মেয়র বলেন, কাউন্সিলর বাতি চাইলে তা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে। মেয়র বলেন, যেই আধিকারিক এই কথা বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে যেন কাউন্সিলর লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
আধিবেশনে উঠে আসে পোলিও প্রসঙ্গ। মেয়র বলেন, ১৫ নম্বর বরোতে বিশেষ পোলিও অভিযান চালাবে পুরসভা। তখন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, যারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের ফোন করা হচ্ছে।
এদিনের অধিবেশনে প্রায় ৭ টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। সিদ্ধান্ত গুলি, নাগরিক পরিষেবার কাজে আরও স্বচ্ছতা আনতে ১০০ দিনের কর্মীদের সচিত্র পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা। হকারদের প্লাস্টিকের ছাউনি সরিয়ে দেওয়া হবে টিনের ছাউনি। দেওয়া হতে পারে ছাতাও। বিল্ডিং ভাঙতে হলে এবার থেকে পুরসভা জিও ট্যাগিং করবে।পুরসভার পাইপলাইন থেকে জল চুরি আটকাতে কলকাতা পুলিশকে নিয়ে যৌথ অভিযান চালাবে পুরসভা। রাজ্য ও ভূমি দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হবে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও মেডিক্যাল সেন্টার তৈরি করার জন্য, এই প্রস্তাব শুধুমাত্র ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাতঙ্গিনী হাসপাতালের অতিরিক্ত জমির জন্য। আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির জন্য প্ল্যান অনুমোদন হওয়ার পর থেকে নির্মাণকারীর নামে নথিভুক্ত করা হবে সম্পত্তিকর।