নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের মধ্যে থেকে যে বা যারা চাকরির নামে দুর্নীতি করেছেন, টাকা নিয়েছেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার থেকে মায়ের মাংস কেটে খাওয়া সমান। সোমবার বছরের প্রথম দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। তিনি আরোও বলেন,বিজেপির মত অত্যাচারী এবং কোরাপটেড পার্টি বিরুদ্ধে এদেশের সমস্ত বিরোধী মনোভাবাপন্ন দলগুলিকে একত্রিত ভাবে লড়াই করতে হবে।বিগত দিনে বিজেপির হাতে গুজরাট থেকে শুরু করে হাতরাশ উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক জায়গায় যেভাবে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যে ধরনের জনবিরোধী একের পর এক নীতি নেওয়া হচ্ছে ,তার থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এসে লড়াই করতে হবে।বামেদের দ্বারা কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস আক্রান্ত হলেও বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে হবে বলে জানান মেয়র।
তিনি দাবি করেন,তৃণমূল কংগ্রেস দলে কোন সমস্যা নেই। নবীনদের সঙ্গে প্রবীনদের সমন্বয় করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Bandopadhay) নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই সংগ্রাম করছে এবং এগিয়ে চলেছে।কিছু মানুষ গুলিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করছেন। কিছু মিডিয়া বিষয়টাকে তাদের মতো করে দেখাচ্ছেন।তার অর্থ এই নয় যে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কোন বিভাজন আছে।আমরা যে যাই করি না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই দল করি এবং লড়াই করি।রাজ্য সংগীত নিয়ে অহেতুক জল ঘোলা করা হচ্ছে।জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।রাজ্যসঙ্গীত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানিয়েই এই রাজ্য সংগীত এডপ করা হয়েছে মন্তব্য মেয়রের।
ফিরহাদ হাকিম বলেন,আগামী দিনে দলকে যুবরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।আমি যতদিন নেতৃত্ব দিতে পারব ততদিন আমি নেতৃত্ব দিয়ে যাব।আমার পরে যুবরাজ নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।আগামী দিনে অভিষেক এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM)প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের নেত্রী দাবি ফিরহাদের। তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তার নেতৃত্বেই আমরা চলি।যদিও দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম একথা বলেন।এদিকে সোমবার ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম নিজের ওয়ার্ড অফিসে(Ward Office) পতাকা উত্তোলন করেন এবং সকল শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। দলীয় কর্মসূচি পালন করেন এবং একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন এবং সেই সাথে এত গুরুত্বপূর্ণ দিনে বেশ কিছু উপহার তুলে দিলেন ও স্টুডেন্টদের স্কলারশিপেরও উপহার তুলে দেন।