এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বৌবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে ফিরহাদ হাকিম

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর(East West Metro) সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল মধ্য কলকাতার বউবাজার(Bowbazaar) এলাকার দুর্গা পিতুরি লেনে(Durga Pituri Lane)। এখন চলছিল সেই সুড়ঙ্গে কংক্রিটের কাজ। কিন্তু তার মধ্যেই আবারও ওই একই এলাকায় ১০-১২টি বাড়িতে বড়সড় ফাটল ধরল। আরও বেশ কিছু বাড়িতেও ধরেছে ফাটল। বৃহস্পতিবার সকালে সেই ফাটল আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলির ৮২জন বাসিন্দাকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার মধ্যেই এদিন এলাকা পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন, আবাসন এবং পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি আসেন ঘটনাস্থলে। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গয়াল(Bineet Kumar Goyal)। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়র কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। তবে মেয়র আসার আগেই এদিন মেট্রো কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।

বুধবার মাঝরাতেই বেশ কিছু পরিবার দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে কার্যত বাধ্য হন। কিন্তু তারপরও বেশ কিছু বাড়ির বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে চাইছিলেন না। বার বার পুলিশ গিয়ে তাঁদের বাড়ি ছাড়তে বললেও তাঁরা তা শোনেননি। এরপরেই তাঁদের বাড়ি ছাড়ার জন্য বোঝাতে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। বাড়িতে ফাটল ধরা সত্ত্বেও যে সব বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না তাঁদের রাজি করানোর চেষ্টা করেন তিনি। দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়ি ছাড়তে নারাজ ওই বাসিন্দাদের দাবি, মেট্রো রেলের কাজের জন্য যদি ফাটল ধরে থাকে, তবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষেরই যোগাযোগ করার কথা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে। কিন্তু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেননি, বদলে পুলিশ এসে তাদের বাড়ি খালি করতে বলেছে। কার্যত তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা করেন বিশ্বরূপবাবু। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, যাদের বাড়িতে ফাটল ধরেনি সেই সব বাড়ির বাসিন্দারাও রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যদিও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। মাইকিং করে এলাকার সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।

এদিন মেয়র আসার আগে বিশ্বরূপবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেটুকু খবর পেয়েছি, অন্তত ১০-১২টি বাড়িতে বেশ বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। আমি বুঝতে পারছই না, ২০১৯-এ এত বড় বিপর্যয়ের পর, কাজ হচ্ছে অথচ সাইটে কেউ নেই। তাঁদের ইঞ্জিনিয়ারের তো ২৪ ঘণ্টা থাকা উচিত! মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের কাউকে এখনও দেখতে পাচ্ছি না। একজন ইঞ্জিনিয়ারও নেই। কাউকে চোখে দেখছি না এখনও। কলকাতা পুলিশ রয়েছে, স্থানীয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ রয়েছে। কিন্তু মেট্রোর লোকজন কোথায়! তাঁরা তো টেকনিক্যাল লোক! আমি তো তা নই। এত নেগলিজেন্সি কেন?’ এদিকে যারা বাড়ি ছেড়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন, বাড়িতে থাকতে ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই যা কিছু পেরেছেন, গুছিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। দরকারি কাগজপত্র নিয়ে বেরিয়েছেন। মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। কাউন্সিলর নিজেও তাদের আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এর আগে ২০১৯ সালে তিন মাস হোটেলে থাকতে হয়েছিল, এ বারও তেমন হতে পারে আঁচ করেই বেরিয়েছেন তাঁরা।

খবর পাওয়ার ঢের পরে মেট্রোর তরফে এক আধিকারিক এবং এক ইঞ্জিনিয়ার বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বউবাজার এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং কারিগরদের একটি বড় অংশ রয়েছেন। এর আগেরবার ২০১৯ সালের ধ্বসের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তাঁদের। এ বারও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। এদিন সকালে নতুন করে বেশ কিছু সোনার দোকানে ফাটল দেখা দিয়েছে। আর এই ফাটলের জেরে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলের নির্মাণের মূল দায়িত্ব থাকা কেএমআরসিএল সংস্থার জিএম (অ্যাডমিন) এ কে নন্দী জানিয়েছেন, ‘কী কারনে এবারে আবারও ফাটল ধরল তা আমরা এখুনই বলতে পারব না। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। যে সব বাড়িতে ফাটল ধরেছে সেই সব বাড়িগুলি ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে। তাদের আপাতত হোটেলে রাখা হচ্ছে।’

এদিন দুর্গা পিতুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি পরিদর্শনের পরে ফিরহাদ জানান, ‘মাটি বসে যাওয়ার জন্যই সম্ভবত বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িগুলোতে ফের ফাটল দেখা দিয়েছে। এর জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি রয়েছে। ফাটল ধরা বাড়িগুলোর পরিস্থিতি খতিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ-ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি আজই ফাটল ধরা বাড়িগুলো পরীক্ষা করবে। তার পর এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। ফাটল দেখা দেওয়া প্রতিটি বাড়িকে আলাদা আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে। তৈরি করা হবে একটি তালিকা। পরে সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ঠিক করা হবে বাড়িগুলো ভেঙে দেওয়া হবে কি না। যদি কোনও বাড়ির পরিস্থিতি খারাপ দেখা যায়, তাহলে তা ভেঙে দেওয়া হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে অমিত শাহকে খোঁচা চন্দ্রিমার

দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে ,পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রির ঘরে

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ফের নালিশ তৃণমূলের

একই দেহে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে নয়া রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিতের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর