নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ৩১ মার্চ নদীয়ার ধুবুলিয়া থেকে ভোট প্রচার শুরু করবেন মমতা। এই কেন্দ্রে প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। প্রথম থেকেই মহুয় মৈত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মমতা। মহুয়া ফের কৃষ্ণনগর থেকেই লড়বেন তা দলনেত্রী ঘোষণা করেছিলেন অনেকদিন আগেই। এবার তাঁর কেন্দ্র থেকেই ২০২৪ এর লোকসভার ভোট প্রচারে নামছেন তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সাধারণত যেখানে প্রথম দফার ভোট থাকে, সেখান থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসাবে প্রথমে মনে করা হয়েছিল হয়ত উত্তরবঙ্গ থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন তিনি। তবে তৃণমূল নেত্রী তা করছেন না। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী বেছে নিয়েছেন মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী কেন্দ্র কৃষ্ণনগরকে। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস জোটকে কী বার্তা দেন, সেই দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কারণ, মহুয়া মৈত্রকে যখন সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তখন মহুয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে বামৃ-কংগ্রেসের কোনও জোট হয়নি। পাশাপাশি কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেসরা আদৌ প্রার্থী দেবেন কিনা, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রীর কৃষ্ণনগরের সভা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল ইতিমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছে। এর আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সভা করতে গিয়েছেন, সেখানেই সিবিআই ও ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছে। সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রের বাড়িতেও সিবিআই হানা হয়। আসন্ন কৃষ্ণনগরের সভায় তার প্রতিফলন যে মমতার বক্তব্যে উঠে আসবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে এই কৃষ্ণনগরেই সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার প্রধানমন্ত্রীকে কৃষ্ণনগরের মাটি থেকে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার। মহুয়া মৈত্র ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৬৩,২১৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছিলেন ৬,১৪,৮৭২টি ভোট। আর বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে পেয়েছিলেন ৫,৫১,৬৫৪টি ভোট। এবারে কী কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহুয়া তাঁর জয়ের ব্যবধান বাড়াবে সেই দিকে চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের।