নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুজো কেটেছে। দশমীতে বিষাদের সুরেই মনে কষ্টের কালো মেঘ আমজনতার। ফের ফিরে আসতে হবে গতানুগতিক জীবনশৈলীতে। বিজয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। বিজয়া এক ওপরের সঙ্গে আলিঙ্গনের, শুভেচ্ছা বিনিময়ের, ঐক্যের মুহূর্ত। এই বিজয়াতেই মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি পাঠালেন রাজ্যপাল। এই বছর রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর প্রথম পুজো কাটল বাংলায়। একাধিকবার নানা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। সেরা পুজোগুলিকে বাছাই করে দুর্গারত্ন পুরষ্কারও দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য-রাজ্যপালের সাম্প্রতিক সম্পর্কের মধ্যে বিজয়ার শুভেচ্ছায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণতা রয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী ও আইপিএস অফিসারদেরও বিজয়ার মিষ্টি-সহ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছেন রাজ্যপাল। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও রয়েছেন সেই তালিকায়। সম্প্রতি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু- রাজ্যপালের সম্পর্কের ছেদ জনসমক্ষে এসেছিল। এই আবহেও ব্রাত্য বসুর উদ্দেশ্যেও বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠানো হচ্ছে বলেই খবর।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, মন্ত্রী শশী পাঁজা, অরূপ রায়, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক মন্ত্রীদেরও বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তলানিতে ঠেকেছিল। এরপর ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন অভিষেক। তারপর থেকেই সম্পর্কের আলগা বাঁধন কিছুটা হলেও পোক্ত হয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।