নিজস্ব প্রতিনিধি: শুরু হয়ে গেল নতুন বছর। কেননা আজ ১ জানুয়ারি, ২০২৪। একই সঙ্গে আজ বাংলার(Bengal) শাসক দল(Ruling Party) তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। মানে তৃণমূল কংগ্রেসের আজ জন্মদিন(Birthday)। ১৯৯৮ সালের এই দিনের তৃণমূলের জন্ম দিয়েছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে এসে সফল রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার নজির দেশে খুব একটা নেই। মমতা সেই ব্যতিক্রমী চরিত্র, যিনি কংগ্রেসের ভরা বাজারে কংগ্রেস ছেড়ে বেড়িয়ে এসে তৃণমূলের জন্ম দিয়েছেন। বাম জমানার অত্যাচারিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত, অসহায় মানুষদের মুখে বোল দিয়েছেন। ৩৪ বছরের অপদার্থ, অকর্মণ্য, অচলায়তনকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পরিবর্তন এনেছেন। বাংলার ক্ষমতায় এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদেও পরিবর্তন আনা। তাই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই এদিন রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে আওয়াজ উঠবে, ‘নয়া বছরে বদল চাই, বিজেপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়।’
প্রতি বছরই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকে বাংলার শাসক দল, এদিনও রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে, প্রতিটি শহরে, প্রতিটি গ্রামে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বাংলার শাসক দলের। সোম সকালে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে দিনভর সামাজিক একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। দলের প্রবীণ কর্মীদের সংবর্ধনা, এলাকার গুণীজন ও বিশিষ্টদের সম্মাননা জ্ঞাপন, হাসপাতালে ফল-মিষ্টি বিতরণ, দুঃস্থ মানুষদের শীতবস্ত্র প্রদান, পড়ুয়াদের শিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দলীয় কর্মী ও এলাকার মানুষদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ ইত্যাদি। এছাড়াও ছোট আকারে পথসভার মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করবেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিন থেকে গোটা জানুয়ারি মাসব্যাপী ঠাসা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে। মনীষীদের জন্মদিন যথাযথ পালন করবে তৃণমূল। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে ‘সুভাষ উৎসব’ পালন করবে জোড়াফুল শিবির।
একই সঙ্গে এটা লোকসভা নির্বাচনের বছর। তাই এদিন থেকে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিও পুরোদমে নেমে পড়ার সংকল্প নেবেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়াজ তুলেছেন, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’। সেই স্লোগানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বলবেন, বিজেপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্দিন। রামমন্দিরকে সামনে রেখে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে যাবতীয় ‘ব্যর্থতা’ ঢাকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। মানুষের স্বার্থেই তাই এই সরকারের বদল জরুরি। তাই লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে এদিন থেকেই সর্বত্র প্রচার কর্মসূচিতে নেমে পড়তে চলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন আর কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও বঞ্চনা— এটাই হাতিয়ার হতে চলেছে জোড়াফুল ব্রিগেডের।