নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ঐতিহ্যের। বনেদি পুজোগুলির তালিকায় শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোর নাম প্রজ্বলিত। ১৭৫৭ সাল থেকে শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় পক্ষের পুজোর সূচনা হয়। পুজোয় কিছু বিশেষ নিয়মরীতি রয়েছে। সেই আচার মেনেই পুজো হয়। এমনকি ভাসানেও বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ।
আজ দশমী। নিয়ম মেনে দশমীতেই শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিমার ভাসান হয়। কাঁধে করে প্রায় ৪০ জন প্রতিমা নিয়ে নিরঞ্জনের ঘাট পর্যন্ত যায়। সেখানে দুই নৌকোর মাঝে বসানো হয় প্রতিমা। একাধিক বাঁশ, দড়ির সাহায্যে দুই নৌকোর মধ্যে প্রতিমা বসানো হয়। বাড়ির সদস্য, সেবাইতরা দুই নৌকোয় ভাগ হয়ে যান। মাঝগঙ্গায় নিয়ে নিয়ে প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রথমে বাঁশ সরানো হয়। তারপর দড়ির মধ্যে থাকে প্রতিমা। ধীরে ধীরে দড়ি সরানো হয়। প্রতিমা দুই নৌকোর মধ্য দিয়ে পড়ে জলে। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে বিসর্জন চলছে।
রাজবাড়ির পুজো হয় শাস্ত্র মেনে। বাড়ির সমস্ত সদস্যরা এই দিনগুলিতে চলে আসে। পুজোর আচার নিষ্ঠাভরে পালিত হয়। বিসর্জনে নৌকোর ভূমিকা রয়েছে। এবছরও বহু কষ্টে বড় নৌকো মিলেছে। নিয়ম অনুযায়ী কাঁধে করেই ঘাটে যাবে মা। দেশ-বিদেশের নানাপ্রান্ত থেকে মানুষ আসেন শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো দেখতে। তার মধ্যে অন্যতম হল নিয়মমাফিক বিসর্জন।