নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের প্রায় ৪০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির(Municipality Recruitment Scam) ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI ও ED। সেই সূত্রেই দুই সংস্থাই রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মরত আধিকারিকদের দিকে নজর রেখেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালাচ্ছেন তাঁরা। সেই সূত্রেই সামনে এসেছে উত্তর শহরতলির কামারহাটি পুরসভার Chief Engineer’র বিপুল সম্পত্তি তৈরি করার ঘটনা যা ঘিরে এখন ওই পুরসভা এলাকায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই Chief Engineer’র নাম তমাল দত্ত। চাকরির মাত্র ৬ বছরের মধ্যেই তিনি নাকি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছেন। গত ৫ অক্টোবর, বাগুইআটির অর্জুনপুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ED সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ ছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের আড়াই কেজি সোনা ও হিরের গয়না উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে ED’র হাতে আসে প্রায় ১৩০০ পাতার সম্পত্তি-নথিও।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে দাবি, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় Assistant Engineer পদে যোগ দেন তমাল। পরে হন Chief Engineer। যোগদানের পর থেকেই পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ED আধিকারিকদের। মাত্র ৩৫ আসন বিশিষ্ট একটি পুরসভার একজন Assistant Engineer’র এই প্রভাব প্রতিপত্তি কীভাবে হল এবং তার উৎস কী সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। একই সঙ্গে তার বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে হল, তাঁর আয়ের উৎস কী, সেটাও জানতে চায় ED। এর আগে কামারহাটি পুরসভার তমাল দত্তকে সল্টলেকের CGO Complex-এ ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। নথি নিয়ে ED দফতরে গিয়েঅছিলেন তিনি। পরে তার বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। এখন এই সব সম্পত্তির হিসাব নাকি দিতে পারছেন না তমাল। আর সেই সূত্রেই মনে করা হচ্ছে তাকে গ্রেফতার করার পথে হাঁটা দিতে পারে ED।