নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিভিন্ন সভা থেকে সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ করেন। যা কলকাতা পুরভোটে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরভোটে একাধিক জায়গায় অশান্তিতে জড়াতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএমকেই। বিভিন্ন জায়গায় আবার সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করেন। রাস্তা অবরোধ থেকে থানা ঘেরাও জোট বেঁধেই রাস্তায় নামে বিরোধীরা। আর সেই ঘটনাকে খোঁচা দিয়ে প্রতিবেদন লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলা। সোমবারের পাতায় জাগো বাংলাতে উল্লেখ রয়েছে কলকাতা পুরভোটে ‘জগাই-মাদাই-বিদাই’-এর প্রতিবাদ। সঙ্গে বলা হয়েছে, গত রবিবার কলকাতায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।
সিসিটিভি বন্ধ, বোমাবাজি, বুথ দখল, ভোট লুঠ–সহ নানা অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। সর্বত্রই পুরভোটে অনিয়মের অভিযোগ করে কখনও পুলিশ আবার কখনও কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি। যাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের মুখপত্র। জাগো বাংলার প্রতিবেদনে এই জোটকে ‘রামধনু জোট’ বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে ‘রামধনু জোটকেই রবিবার ক্যামেরায় সামনে প্রমাণ করল সিপিআইএম–বিজেপি–কংগ্রেস। রবিবার দুপুরে যখন বোঝাই যাচ্ছিল বিরোধীরা ১০–০ গোল খেয়ে গিয়েছে, তখন ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম–কংগ্রেস–বিজেপি কর্মীরা ভোটের ময়দান ছেড়ে চলে আসেন বড়তলা থানা ঘেরাও করতে… অভূতপূর্ব দৃশ্য।’ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে গত রবিবার শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না বলে বড়তলা থানার সামনে একযোগে অবস্থান বিক্ষোভ করে সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি।
গত রবিবার রাতেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমস্ত বিরোধী দলকে পাশে চেয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। একাধিক নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে সিপিএম-বিজেপি ও কংগ্রেসের গোপন আঁতাতের কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বারবার বলেছেন, ‘আমাকে হারাতে তিন বন্ধু জোট বেঁধেছে। দাঙ্গাবাজ জগাই বিজেপি, মাদাই কংগ্রেস ও হার্মাদ সিপিএম বিদাই। এই জগাই-মাদাই-বিদাই, আমাকে হারাতে চাইছে।’ যদিও তখন সিপিএম কিংবা কংগ্রেসের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা দাবি অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে সেই চিত্র ফুটে উঠতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলা।