নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হয়েছিল লড়াই। ২৭ বছর লড়াই চালানোর পর শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুরসভায় চাকরি পেলেন তিলজলার বাসিন্দা উত্তম নায়েক।
উত্তর নায়েকের বাবা হরেন্দ্রনাথ নায়েক কলকাতা পুরসভার ট্যাক্স কালেক্টর হিসাবে কাজ করতেন। ১৯৯৭ সালে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ১৯৯৭ সালের ১৫ জুলাই শারীরিকভাবে অক্ষম ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল বোর্ড। কলকাতা পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কেউ শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন বা তাঁর যদি ফিরে আসার মতো ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তাঁর জায়গায় স্পেশাল গ্রাউন্ডে পরিবারের একজন চাকরি পাবেন। সেইমতো হরেন্দ্রনাথের বড় ছেলে উত্তম নায়েক চাকরির জন্য আবেদন করেন। তবে উত্তর চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই ১৯৯৭ সালের ২০ জানুয়ারি হরেন্দ্রনাথ মারা যান।
এরইমধ্যে উত্তম যে চাকরি পাওয়ার যোগ্য, সেবিষয়ে ডেপুটি পার্সোনাল ম্যানেজারের নেতৃত্বাধীন কমিটি কলকাতা পুরসভাকে সুপারিশ করে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে চাকরি পাননি উত্তম। বদলে তাঁর হাতে মাত্র ৪৪ হাজার ৯৭ টাকা এককালীনবাবদ তুলে দেওয়া হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তম। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৌমিত্র পালের বেঞ্চ বিষয়টি কলকাতা পুরসভাকে বিবেচনা করতে বলে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা উত্তমের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর ফের আদালতের দ্বারস্থ হন উত্তম। তখন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যখন উত্তমকে চাকরি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে, তখন পুরসভা নিজেই সেই নোটিশ খারিজ করেন কীভাবে। এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে উত্তমকে চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।