এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হাইকোর্টে শেষ দিনে জেলার বিচারককে বরখাস্তের অনুরোধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি দুপুরে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, আগামী মঙ্গলবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন। যদিও আগামী অগাস্ট মাসেই ছিল তাঁর নির্ধারিত অবসরের দিন। কিন্তু তার আগেই তিনি সরে যাচ্ছে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে। তিনি সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, সোমবারই হতে চলেছে বিচারপতি হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর শেষ দিন। তাই এদিন সকাল থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর এজলাসে ছিল আমজনতা ও আইনজীবীদের ভিড়। সেই এজলাসে বসেই এদিন তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বিচারককে বরখাস্ত(Dismissal of a District Judge) করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহুর্তের মধ্যে শোরগোল, কেননা শোনা যাচ্ছে তিনি রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন। যোগ দিতে চলেছেন পদ্মশিবিরে। আর সেই সূত্রে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার তমলুক থেকে নাকি পদ্মপ্রার্থী হতে পারেন। সেই জেলারই এক বিচারককে বরখাস্ত করার প্রসঙ্গ তুলে কার্যত হইচই ফেলে দিলেন তিনি। নজরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে ঢুকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে পারেন তাঁর হাতে যে মামলাগুলি ছিল সেগুলি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গতকাল জানিয়েছিলেন তিনি নিজেই তাঁর হাতে থাকা মামলাগুলি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু এসে শুনলেন, তিনি ছাড়ার আগেই সেই মামলাগুলি অন্য বিচারপতির এজলাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যত তাতে কিছুটা ক্ষুণ্ণ হন তিনি, যদিও মুখে কিছু বলেননি। এরপরে এজলাস ছাড়ার আগে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বিচারককে বরখাস্তের অনুরোধ জানান। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে রিপোর্ট দেখে আইন অনুযায়ী সেই পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। একটি মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘হাইকোর্টের ভিজিল্যান্স বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছে জেলার বিচারকের বিরুদ্ধে। আমি প্রধান বিচারপতিকে ওই রিপোর্টটি দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করব। ওই রিপোর্ট সত্যি প্রমাণিত হলে জেলা বিচারককে বরখাস্ত করা উচিত।’

কলকাতা হাইকোর্টে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে একটা আবেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এজলাসে বিচারপতির বসার পর এক আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের ছেড়ে যাবেন না।’ বিচারপতি বলেন, ‘আমার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অন্য কাজ রয়েছে।’ এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, ‘সব মামলা ছেড়ে দিচ্ছি, এটা লিখে দিন। পার্ট হার্ড ম্যাটারও ছেড়ে দিচ্ছি। একটা মামলা শুধু আমি দেখতে চাই।’ অন্য এক আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের জন্য কালো দিন।’ বিচারপতি সেই কথা শুনে বলেন, ‘এখানে আমার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন অন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর পরেই জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তখন এজলাসে এসে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে চান এক মহিলা। বিচারপতি বলেন, ‘পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম আমি নিই না।’ তখন ওই মহিলা বলেন, ‘তা হলে আশীর্বাদ করুন যাতে সঠিক বিচার পাই।’ তাতে বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘এক দিন না এক দিন যেতেই হবে।’ এক মহিলা জামশেদপুর থেকে এদিন এসেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতির ইস্তফার খবর জেনে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘কেন চলে যাচ্ছেন স্যর। এটা তো আমাদের কাছে মন্দির। চলে যাবেন না স্যর।’ বিচারপতি বলেন, ‘আমাকে চলে যেতে হবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, বাগুইহাটিতে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর