নিজস্ব প্রতিনিধি: রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে গণহত্যা কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার উচ্চ আদালত এই হত্যাকান্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআইকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
সোমবার রাতে বোমা হামলায় বকটুই গ্রামে রামপুরহাটের(Rampurhat Incident) এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। তারপর ওই এলাকার কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতে শিশু ও মহিলা-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সিটের উপর আস্থা রাখা সম্ভব নয় বলেই দাবি করেন অনেকেই। সে কারণেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। এরপর একের পর এক পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। শুক্রবার উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই করবে। বিচারের স্বার্থে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার আর কোনও তদন্ত করবে না বলে স্পষ্ট করে দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই হত্যাকান্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু অভিযুক্তরা নন, এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করা হলে, তাঁকেও গ্রেফতার এবং হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিও।