নিজস্ব প্রতিনিধি: শহর কলকাতায়(Kolkata) বাড়ছে ভিন দেশী থেকে ভিন রাজ্যের মানুষদের আনাগোনা। এদের কেউ আসছেন কর্মসূত্রে, কেউ চিকিৎসা করাতে, কেউ ব্যবসার সূত্রে, কেউ বা আসছেন নিছক ঘুরতে। কেউ কেউ আসছেন আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতেও। আবার অনেকেই দেশের অন্য প্রান্তে যাওয়ার আগে এই শহরে ২-১টা দিন কাটিয়ে যাচ্ছেন। এখন শহরের শতাধিক হোটেলে(Hotels) ওঠা বিদেশী নাগরিকদের তথ্য কলকাতা পুলিশের(KP) কাছে নিয়মিত ভাবে চলে গেলেও ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের(Residents of Different States) সম্পর্কে কোনও তথ্যই পৌঁছায় না। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণের দুই মাথা আব্দুল মতিন তহ্বা ও মুসাভির হুসেন সাজিদ এই শহরে এসে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে লুকিয়ে ছিল। এই ছবি বদলাতেই এবার কলকাতা পুলিশ একটি পোর্টাল(Portal) আনার কথা ভাবছে যেখানে, কলকাতার হোটেলে ওঠা ভিন রাজ্যের নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য তাঁদের কাছে মুহুর্তের মধ্যে চলে যাবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা থেকে বাংলার পুলিশের সহায়তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA’র হাতে ধরা পড়েছে বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দুই জঙ্গী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিঘায় যাওয়ার আগে ওই ২ জঙ্গী খাস কলকাতার বুকে ৩ সপ্তাহ ধরে ঘাপটি মেরে ছিল। নাম ভাঁড়িয়ে, তাঁরা শহরের বুকে প্রায় ১৯ দিন ধরে একের পর এক গেস্ট হাউস ও হোটেলে থেকেছে। অথচ সেই সময় তাঁদের নিয়ে কোনও খবরই পায়নি লালবাজার। কিন্তু এবার সেই খামতি কাটিয়ে উঠতে একটি পোর্টালের কথা ভাবছে লালবাজার। আগামী দিনে ভিন রাজ্যের নাগরিকরা কলকাতার কোনও হোটেল বা গেস্ট হাউসে এলে তাঁদের জমা দেওয়া নথি ও ফোন নম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আপলোড করার জন্য একটি পোর্টালের কথা ভেনেছে পুলিশ প্রশাসন। সেই হোতেল বা গেস্ট হাউসে যিনি এসেছিলেন তাঁর জমা সমস্ত নথি ‘আসল’ কিনা তা পরীক্ষা করবেন অফিসাররা। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। সেখানে ‘জাল’ কিছু পাওয়া গেলেই যে রাজ্য থেকে তিনি এসেছিলেন বলে দেখানো হয়েছে, তাঁদের জানানো হবে। জাল নথি সমস্ত জায়গায় পাঠিয়ে দেবেন অফিসাররা। জাল নথি দিয়ে দেশের কোনও প্রান্তে ঘর বুক করলে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে গিয়ে সন্দেহভাজনদের ধরতে পারবে।