নিজস্ব প্রতিনিধি: পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দাবি করেছেন অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। এবার এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রবিবার কুণাল ঘোষ বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল টাকা কার তা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই বলবেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে আনা হয়। এদিন গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন ‘আমার কোনও টাকা নেই।’ আর এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে গত কয়েক দিনের পর্যবেক্ষণের পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার সম্পর্কে, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার তা প্রকাশ্যেও জানিয়ে দিয়েছেন। যদি কোনও ব্যক্তি নিরাপরাধ হন বা যদি কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয় তাহলে সাধারণ নিয়ম বলে প্রথম দিন প্রথম সুযোগে তিনি এটাই জোরে বলবেন যে আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমি নির্দোষ। উনি মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেন। অন্যান্য বিষয়ে কথা বললেন। আর দল ব্যবস্থা নেওয়ার পর ওঁর মনে হচ্ছে এটা ষড়যন্ত্র, টাকা ওঁনার নয়। দুদিন বাদে এও বলতে পারেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে উনি চেনেন না। উনি কাকে চেনেন, কার টাকা, কার বাড়িতে যেতেন,কার সঙ্গে মিলে সম্পত্তি কিনেছেন এসব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলতে পারবেন। প্রথমে কেন বলেননি সেটা ওঁর ব্যাপারে। এখন কেন বলছেন সেটাও ওঁর ব্যাপার। অভিযুক্ত হিসেবে কোর্টে তাঁর অনেক কিছুই বলা অধিকার রয়েছে। এনিয়ে আমার বা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য নেই।’
উল্লেখ্য এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তৃণমূল কংগ্রেস পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করে। সাসপেন্ড করার পর স্বাভাবিকভাবে দলের মহাসচিব সহ ৫ গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও অপসারিত হন তিনি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের যে দফতরগুলির মন্ত্রিত্ব সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন পার্থ, সেই দফতরগুলির মন্ত্রিত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।