এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(ECI) কাছে অভিযোগ গিয়েছে যে, এ রাজ্যে ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের(State Government Employees) যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য(Personal Information) ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ভোটের ডিউটিতে(Election Duty) যাওয়া সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর বাড়ির ঠিকানা থেকে শুরু করে ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর পর্যন্ত ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে ভোটকর্মীদের গোপনীয়তাই শুধু যে লঙ্ঘন হচ্ছে তা নয়, এমনকী কোন পোলিং পার্টির সঙ্গে সেই সরকারি কর্মীকে ডিউটিতে যেতে হবে, কোন ব্লকে ওই ভোটকর্মীকে কর্তব্য পালন করতে হবে, সেই সংক্রান্ত তথ্যগুলিও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির হাতে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এর জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ভোটকর্মীদের পরিবারের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ভোটের ডিউটির প্রশিক্ষণে হাজিরা না দেওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রায় ১৫০০জন সরকারি কর্মীকে শোকজ(Show Cause) করেছে কমিশন।

এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা দাবি করছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার বিষয়ে কমিশনের কাছে এর আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। এদিকে ভোটের ডিউটিতে যাওয়া সরকারি কর্মী এবং শিক্ষকদের বক্তব্য, ভোটের ডিউটির চিঠি খামবন্দি অবস্থায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে আসছে। তাহলে কীভাবে সেই তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে? এই তথ্য ফাঁস নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানোর পর তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আশ্বাসে কাজ হয়নি। এই আবহে সরকারি কর্মীদের দাবি, তাঁদের আগে যেখানে ভোটের দায়িত্বে পাঠানোর কথা ছিল, সেই স্থান পরিবর্তন করতে হবে। এদিকে ডিউটির স্থান পরিবর্তন না করা হলে নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তার মাঝেই সামনে এসেছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রথম দফার প্রশিক্ষণে যাঁদের ডাকা হয়েছিল, তাঁদের সকলে হাজির হননি। এই সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি। এদেরই এখন শোকজ করা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে এদের কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।   

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে, রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি। জেলায় মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৮,৬৪৭টি। তারমধ্যে ১,২৩৩টি মহিলা পরিচালিত। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো প্রতিটি কেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে ৪জন করে ভোটকর্মী। তাই রিজার্ভ ধরে ৩৬ হাজার ভোটকর্মী জোগাড় করা হয়েছে। ওই কর্মীদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে হাজার দেড়েক কর্মী এই প্রশিক্ষণে আসেননি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি নিয়ম মেনে ভোটকর্মীদের আগেই মেসেজ দিয়ে প্রশিক্ষণের স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জেলার ৫টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ভোটকর্মী হিসেবে কাজের অনীহা সব থেকে বেশি বসিরহাটে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় ভোটকর্মীদের গরহাজিরার সংখ্যা এই জেলার তুলনায় অনেক বেশি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বসিরহাটে তৃণমূলের মিছিলে আইএসএফের সশস্ত্র হামলা, আহত একাধিক

মঙ্গলবার খড়দহে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা, প্রস্তুতি তুঙ্গে, থাকছে কড়া নিরাপত্তা বলয়

রাজভবনের নির্দেশে হেয়ার স্ট্রিট থানায় বয়ান দিতে সশরীরে হাজির তিন কর্মী

মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় সন্দেশখালির প্রতিবাদীরা উপস্থিত থেকে প্রমাণ করল উন্নয়নের পাশেই তাঁরা

প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি অভিজিতের

বিজেপি- সিপিএমের বেআইনি পার্টি অফিস বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর