এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন মমতার বাংলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মানুষকে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষবা প্রদান করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চালু করেন স্বাস্থ্যস্বাথী প্রকল্প(Swasthyasathi Project)। এবার সেই প্রকল্পের হাত ধরেই বাংলার(Bengal) বুকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের(Lungs Replacement) ঘটনাও ঘটল। গত শনিবার রাতে মাত্র ১৬ বছরের এক কিশোরের ফুসফুস প্রতিস্থাপিত হল কলকাতার(Kolkata) ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রতিস্থাপন পর্ব চলে রবিবার সকাল পর্যন্ত। পথ দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়া ওড়িশার এক ৩০ বছরের দাতার ফুসফুস প্রতিস্থাপিত হয়েছে বারাসতের বাসিন্দা ওই কিশোরের দেহে। ওই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কিছু অর্থ দেয় ওই কিশোরের পরিবারও। ক্রাউড ফান্ডিং(Crowd Funding) ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেও বাকি অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে এখনও। এর আগে এই হাসপাতালেই রাজ্যের মধ্যে প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয়েছিল। যদিও সেই রোগীকে দু’সপ্তাহের বেশি বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বারাসতের কিশোরকে সুস্থ রাখতে পারলে আর একটি নজির গড়বে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা।

আরও পড়ুন লরেটোর সিস্টার সিরিলের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাড়িতে আগাছা মারার জন্য প্যারাকোয়াট ডাইক্লোরাইড নামে এক ধরনের কীটনাশক রাখা ছিল। ভুলক্রমে তা রাখা হয়েছিল একটি কোল্ড ড্রিংকস-এর বোতলে। ওই কিশোর কোল্ড ড্রিংকস ভেবে সেই বোতলে চুমুক দেয়। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ওই কীটনাশক এতটাই মারাত্মক যে তা শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন অঙ্গ গলিয়ে দেয়। বহুক্ষেত্রেই দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ও মৃত্যু ঘটে। জীবিত থাকলে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝা যায় দিন সাতেক পর থেকে। তখন কিডনি, লিভার ও ফুসফুস সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কিশোরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ফুসফুসে। অভ্যন্তরীণ ছবি দেখলে মনে হবে, কেউ যেন তার ফুসফুসটা জ্বালিয়ে কালো করে দিয়েছে। ঘটনার ৭দিন পর হাসপাতালে আনা হয় তাকে। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়া টানা ৩৩ দিন কৃত্রিম ফুসফুস বা একমো সার্পোটে ছিল। তারপরেও চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন ফুসফুস প্রতিস্থাপন না করলে তাকে বাঁচানো যাবে না।

আরও পড়ুন জঙ্গলমহলে ৫টি সভা মমতার, চাপে গেরুয়া ব্রিগেড

এই অবস্থায় খুদ দ্রুত ফুসফুস জোগাড় করাও খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ফুসফুস দাতার অপেক্ষায় ওই কিশোরের বাড়ির লোকজন কার্যত হন্যে হয়ে কলকাতার সব হাসপাতালেই ঢুঁ মারা শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের অনান্য হাসপাতালগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। ঘটনাচক্রে শনিবার ওড়িশার পথ দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হয়। তাঁর ফুসফুস ম্যাচ করায় রোটো মারফৎ বার্তা পেয়ে চিকিৎসকদল ওড়িশা গিয়ে ফুসফুস সংগ্রহ করে আনেন। শনিবার রাতেই শুরু হয় অস্ত্রোপচার। রবিবার ভোরে তা শেষ হয়। ওই কিশোরের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের দাবি, ফুসফুস প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে কিছু বলা উচিত নয়। কেননা এক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন হল প্রতিস্থাপনের পর সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কমিশনের নির্দেশে ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার নতুন ওসিরা দায়িত্ব নিলেন

প্রচারের শেষ লগ্নে ঝড়, ২৭ মে সুদীপের হয়ে পদযাত্রা মমতার

বিধান ভবনে খাড়গের ছবিতে কালি, অধীরের কাছে রিপোর্ট তলব কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের

অনুমতি ছাড়া আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ নয়, নির্দেশিকা শিক্ষা দফতরের

বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের

ভোট পঞ্চমীতে দেশে এগিয়ে সেই বাংলাই, গর্বিত বাঙালিরাও

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর