এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কলকাতায় এসে মা গান শুনতে আসেন এই রাজবাড়িতে

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজবাড়িতে নবমীর আগের পক্ষের কৃষ্ণানবমীতে বোধন বসে৷ ঠাকুর দালানে বেদি করে দেবীর ঘট স্থাপন করা হয় সেদিনই৷ ওইদিন থেকেই ব্রাহ্মণরা বাড়ির ঠাকুর দালানে পুজোর দিন পর্যন্ত চণ্ডীপাঠ, বেদ, রামায়ণ ও মধুসূদন পাঠ করেন ৷ এই পুজোয় ব্রাহ্মণ থেকে প্রতিমা শিল্পী এমনকী সানাই, ঢাকি, ব্যান্ড, বিসর্জনের নৌকা প্রভৃতি বংশ পরম্পরায় চলে আসছে৷ শোনা যায় মা(Maa Durga) সপরিবারে কলকাতায়(Kolkata) এলে নাকি এই রাজবাড়িতে আসেন গান শুনতে। ভাবছেন তো কোন রাজবাড়ির কথা বলছি! কলকাতার বিখ্যাত শোভাবাজার রাজবাড়ির(Sovabajar Rajbari) কথা বলছি।

পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ্দ-দৌল্লার পরাজয় আর লর্ড রবার্ট ক্লাইভের জয়ের আনন্দে সেই বছর থেকেই অর্থাৎ ১৭৫৭ সাল থেকে শোভাবাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর(Durga Puja) সূচনা ঘটান রাজা নবকৃষ্ণ দেব(Raja Naba Krishna Deb)। পুজোর মূল উদ্দেশ্য ছিল অবশ্যই ব্রিটিশ প্রভুদের খুশ করা। সেই সূত্রেই পুজোর রাতে গানবাজনার আসর যেখানে নিমন্ত্রিত থাকতেন ব্রিটিশ প্রভুরা। রাজবাড়ির নাচঘরে বসতো সেই গানবাজনার আসর যা শুনতে আমন্ত্রিত থাকতেন সেই সময়কার কলকাতার নামীদামী ব্যক্তিত্বরা। সেই সূত্রেই লোকের মুখে মুখে ছড়িয়েছিল, মা দুর্গা সপরিবারে কলকাতায় এলে শোভাবাজার রাজবাড়িতে আসেন গান শুনতে। এই বছর সেই পুজো ২৬৭ বছরে। ১৭৯০ সালে এই রাজবাড়ির পুজো ভাগ হয়ে যায় দুই ভাগে। রাজা নবকৃষ্ণের দত্তক নেওয়া সন্তান গোপীমোহন মূল রাজবাড়িতে থেকে যান। তাঁর পরিবারের উত্তরসুরিরাই চিহ্নিত হয়েছেন বড় তরফ নামে। অপরদিকে রাজা নবকৃষ্ণের নিজ সন্তান রাজকৃষ্ণের উত্তরসুরিরা চলে যান নতুন রাজবাড়িতে। তাঁরা চিহ্নিত হন ছোটতরফ হিসাবে। সেই ছোটতরফের বাড়িতে পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সাল থেকে।

রাজবাড়ির পুজো বড় তরফ ও ছোট তরফ, এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেলেও সেই প্রথম থেকে যে নিয়ম, আচার-অনুষ্ঠান রাজবাড়িতে শুরু হয়েছিল আজও তা অব্যাহত৷ দুই তরফেই তা মেনে চলা হয়। শোভাবাজার রাজবাড়ির মাতৃমূর্তির বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একই চাঁচে তৈরি হয় মাতৃমূর্তি। মা দুর্গা রাজবাড়িতে বৈষ্ণবী হিসেবে পূজিতা হন। তাই শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোয় অন্নভোগ থাকে না। গোটা ফল, গোটা আনাজ, শুকনো চাল, কচুরি, খাজা, গজা, মতিচুর-সহ নানা ধরনের মিষ্টি দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। এখনও নিয়ম করে প্রতিবছর রথের দিন কাঠামো পুজো হয় বড় তরফের পুজোয়। আর উল্টোরথের দিন হয় ছোট তরফের কাঠামোপুজো। কাঠামোপুজো হলেই বাড়িতে উৎসবের আঁচ লাগে৷ আগে পুজোতে বিনোদনের আয়োজন করা হত৷ বল ড্যান্স ও বাইজি নাচের আসর বসত হত রাজবাড়ির নাচঘরে৷ কথিত আছে, একসময় শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব(Sree Sree Ramkrishna Paramhangshadeb) এই বাড়িতে ৯০ দিন পুরোহিত হিসেবে কাজ করেছিলেন৷ একবার পুজোর সময় তিনি ছড়রা গাড়িতে চেপে শোভাবাজার রাজবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন৷ আর এসেই তিনি মায়ের সামনে ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করেছিলেন ৷ আর বাড়িতে রামকৃষ্ণদেব এসেছেন, এ কথা চাউড় হতেই, লোকে লোকারণ্য হয়েছিল গিয়েছিল শোভাবাজার রাজবাড়ি ৷

উত্তর কলকাতার এই ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বিল্ব বরণ, আমন্ত্রণ, অধিবাস হয় ৷ প্রতিমার সামনে ঘট স্থাপন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ দেবী দুর্গাকে সোনার নথ ও সিঁদুর পরানো হয়৷ সপ্তমীতে ভোরবেলায় রাজবাড়ির নিজস্ব ঘাটে কলাবউ বা নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয়৷ আগে ফোর্ট থেকে ‘গোরার বাদ্যি’ ব্যান্ড আসত৷ এখন অবশ্য হ্যারিসন রোড থেকে ব্যান্ড আসে৷ অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে একশো আটটি প্রদীপ জ্বেলে সন্ধিপুজো করা হয়৷ সন্ধিপুজোর সূচনা ও সমাপ্তি ঘোষণার জন্য আগে কামানের শব্দ করা হত৷ এখন সেই কামান শোভাবাজার রাজবাড়িতে রাখা রয়েছে৷ তবে এখন আর সন্ধিপুজোর সময় কামান দাগা হয় না৷ এখন বন্দুকের শব্দেই শুরু হয় সন্ধিপুজো৷ এই বাড়ির রীতি অনুযায়ী দশমীর দিন সকালেই মায়ের বিসর্জন হয়৷ প্রতিমার সামনে একটি বড় হাঁড়িতে জল ভর্তি থাকে৷ ওই জলের ভিতর মায়ের পায়ের প্রতিবিম্ব দেখে বাড়ির সবাই প্রণাম করেন৷ ওই সময় বাড়িতে বিষাদের সুর বেজে ওঠে সানাইয়ে৷ বিকেলে শোভাযাত্রা করে গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়৷

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, বাগুইহাটিতে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর