নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবর্তনের ঝড়ে এগারো বছর আগেই বাংলার ক্ষমতা হারিয়েছিল বামেরা(Left)। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে ততই ততই রক্তক্ষরণ ঘটেছে বাম শিবিরে। দিনের পর দিন, একের পর এক নির্বাচনে, ভোট কমেছে বামেদের। পাল্লা দিয়ে কমেছে জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও গুরুত্বও। কমেছে দলের সর্বক্ষণের সদস্য সংখ্যা, কমেছে দলের সাংসদ-বিধায়ক-জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যাও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তো বামেরা বাংলার বিধানসভা(Bengal Assembly) কেন্দ্র থেকেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বাংলার বিধানসভা বামহীন। সেই বামেদেরই কিন্তু একুশের বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন গুলিতে চমকে দেওয়ার মতো ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। তা সে পুরসভার নির্বাচন হোক কী কোনও বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বা কোনও লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ইদানিংকালে বঙ্গ বিজেপিকে(BJP) চাপে ফেলে দিয়ে বেশ চমক দেখাচ্ছে বামেরা। বৃহস্পতিবার সেই বামেদেরই আক্রমণ শানলেন মমতা(Mamat Banerjee)।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘এখন আর দর্শনধারী নয়, কেউ কেউ ধর্ষণধারী হয়েছে। শুধু মেয়েদের অপমান, অশালীন কথা। একটা ঘটনা যদি ঘটে, সেটাকেই ইস্যু করে। সবসময় খালি বাংলা সরকারের নিন্দা। একটা দু’টো বছর নয়, ৩৪টা বছর এখানে রাজত্ব করেছো। এখন ঘণ্টা গলায় বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছো। ভাবছো কবে আবার লাড্ডুটা খাব। নরকঙ্কালের মালা পড়িয়েছো, হলদি নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছো। আজকে কোথায় তাঁরা? এখন বামেরা বিজেপি হয়ে গিয়েছে। আগে যাঁরা বাম ছিল, আজ তাঁরা সবাই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। একটা ভালো কাজ দেখায় না। একটা ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে কচলাচ্ছে। যে দোষ করে, তারও যেমন শাস্তি হয়, যে চক্রান্ত করে তারও শাস্তি হয়। কেউ যদি ফেক ভিডিয়ো করে, মিথ্যে তথ্য দেয়, তাকেও আইন রেয়াত করবে না।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এক বারও তো বলছেন না, মাধ্যমিক ১২ লক্ষ, উচ্চমাধ্যমিক ১০ লক্ষ পরীক্ষা দিয়েছে। একটি ঘটনা দেখাতে পারবেন? আমাদের সময় তো একটা হাসপাতালে ভর্তি করতেই পারতাম না। পাড়ার ডাক্তার একটা লালজল দিয়ে দিত। আজ তো সে অসুবিধা নেই। কত হাসপাতাল হয়েছে। এ ছাড়াও ন্যায্যমূল্যে ওষুধ পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দু’বার করে ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। মানুষের পকেট কাটছে টাকা নিচ্ছে। জীবনদায়ী ওষুধেরও দাম বাড়িয়েছে। আর আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসাথী করেছে। আপনারা ৩৪ বছরে কী করেছেন? দিন রাত খালি নিন্দা।’