নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের সভা থেকেই নাম না করে ফুরফুরা শরিফের পাশাপাশি নওশাদ সিদ্দিকি(Nowsad Siddiqui) ও আব্বাস সিদ্দিকিকের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানলেন গেরুয়া ব্রিগেডকেও। বিশেষ করে বিজেপিকে। এই প্রসঙ্গেই বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে জগাই মাধাই গদাই এর সঙ্গে তুলনা করে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, ‘সিপিএমের লোকগুলোর লজ্জা নেই, তাই সিপিএম, কংগ্রেস বিজেপি(BJP) জগাই মাধাই গদাই একসাথে বোর্ড গঠন করছে। মিথ্যে প্রচার, দাঙ্গা লাগানোর জন্য তার সঙ্গে জুটেছে আর একটা।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই আর একটা বলতে নাম না করে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন ইমাম, মোয়াজ্জেম, পুরোহিতদের ভাতা বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছে, বিজেপির কিছু নেতা সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগি করার জন্য ক্যাশমানিও তুলে দিচ্ছে। ইমাম, মোয়াজ্জেমদের বলব, যে দুশমনরা বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করবে. তাদের থেকে দূরে থাকুন। আমার একটাই খিদে বিজেপি হঠাও, ইন্ডিয়া বাঁচাও। গেরুয়াধারীদের তো একটাই টার্গেট। ওরা তো চায় সংখ্যালঘুদের টেররিস্ট বানাতে। এনআইএ দিয়ে দেবে। বাংলায় আমি সেটা বরদাস্ত করব না বলে বিজেপির লোকেরা তো আমার নামটাই পাল্টে দিয়েছিল। ভেদাভেদি বিজেপির মধ্যে রয়েছে। বিলকিসের মামলার অত্যাচারীদেরও ছেড়ে দিয়েছে। ‘কয়েক বছর আগে বিজেপি সরকার বলল, সবাইকে আধার কার্ড করতে হবে। আধার কার্ডে সব তথ্য দিতে হবে। আধার কার্ড যাঁদের না থাকবে, তারাই নাকি সন্ত্রাসবাদী। আধার কার্ড না থাকলে রেশন কার্ড নাম উঠবে না। আধার কার্ড না থাকলে, আবাসে নাম উঠবে না। আধার কার্ড না থাকলে দেশে থাকা যাবে না। এবিসিদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ, ৯৯ শতাংশ মুসলিম। আমাদের এখানে বিভেদ নেই। বিজেপির ওখানে বিভেদ আছে।’
আরও পড়ুন ‘NRC করতে দিইনি, করতেও দেব না’, সংখ্যালঘুদের আশ্বাস মমতার
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইমামদের আমি সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আমি আশা করি তাঁরা কোনও রাজনীতির মধ্যে প্রবেশ করবেন না। যেমন আমরা চাই না, বেলুড় মঠ রাজনীতির মধ্যে প্রবেশ করুক। আমাকে নিয়ে অনেক কুৎসা করেছে। রমজান মাসে গিয়েছি, তা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। আমার নাম বদলে দিয়েছিল বিজেপি। আমি আদিবাসীদের সঙ্গে নাচ করলে এসব কথা বলেন না! যত রাগ সংখ্যালঘুদের ওপর! বিজেপির কিছু নেতা ভাগাভাগির জন্য নগদ টাকা দিচ্ছে। দাঙ্গা লাগানোর জন্য টাকা দিয়ে বড় নেতা বানাচ্ছে। এদের থেকে সাবধান থাকুন।’