নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটের ফলাফল বলে দিয়েছে সেবার বিজেপিকে ঠেকাতে বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের(Minority Society) সব ভোটই চলে গিয়েছিল তৃণমূলের(TMC) দখলে। তার জেরেই বাংলার বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয়েছে বাম আর কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই হয়ে গিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই ভোটেও বিপুল জয়ের মুখে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দল। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে এটাও চোখে পড়েছে যে, কিছু কিছু এলাকায় সংখ্যালঘু ভোট গিয়েছে বাম কংগ্রেসের(Left-INC) ঝুলিতেও। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ঠিক এই রকম অবস্থায় এদিন অর্থাৎ সোমবার কলকাতায় ইমাম-মুয়াজ্জিমদের সমাবেশে যোগ দিয়ে তাঁদের আশ্বাস দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। সাফ জানালেন, ‘আমার রাজ্যে NRC করতে দিইনি, করতেও দেব না। হিন্দুরাও দাঙ্গা করে না, মুসলমানেরাও দাঙ্গা করে না। দাঙ্গা বাঁধায় রাজনৈতিক দল। বাংলায় দাঙ্গা লাগাতে দেবেন না। বাংলায় শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন ইমাম, মোয়াজ্জেম, পুরোহিতদের ভাতা বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় সংখ্যালঘু সমাজের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, ‘সংখ্যালঘু স্কলারশিপে বাংলা এক নম্বর। ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে তাতে। ৯৭ শতাংশ মুসলিমরা ওবিসি। তাই কেন্দ্র ঐক্যশ্রী বন্ধ করে দিয়েছে। মেধাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী সহ রাজ্যের সরকারি প্রকল্পগুলিতে কোনও হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই। আমার নামে কুৎসা করেছে, অপপ্রচার করেছে। রমজান মাসে আমার ছবি নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ করেছে। কই আমি যখন আদিবাসীদের সঙ্গে ডান্স করি তখন তো কেউ বলেন না। যত রাগ সংখ্যালঘুদের দেখলে। সংখ্যালঘু দেখলেই ওদের রাগ হয়! আজকে যখন বিনা পয়সায় চালটা যায় তখন কি হিন্দু মুসুলমান দেখে যায়। আমি তো ভেদাভেদি করি না। ‘আমাদের ধর্ম আমাদের মাথার ওপরে। দেখবেন যখন আপনাদের ওপর আঘাত আসে ইস্যুটা কিন্তু প্রথম আমরাই ধরি, এবং শেষপর্যন্ত লড়াই করি। NRC ইস্যুতে আপনারা দেখেছেন, আমরা রাজ্যে আমি কিন্তু করতে দিইনি। করতেও দেব না। অনেক রাজ্য করেছে। যখন অসমে সংখ্যালঘুদের নাম বাদ দিয়ে দিল, কিছু নেপালি নামও বাদ দিয়েছিল। কিছু অসমের নাম দেওয়া হয়েছিল। আমি একটা প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলাম। তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’