নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের নিচুতলার কর্মীরাই যে তাঁর সম্পদ তা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাই করতে গিয়েও দলের কমীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। যে কারণে গতবারের জয়ী দলের অধিকাংশ সাংসদকে ফের ভোটের ময়দানে নামালেও মথুরাপুর, আরামবাগ, বর্ধমান পূর্ব, ব্যারাকপুর, বসিরহাট ও যাদবপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদদের আর ভোটের ময়দানে নামাননি। বিধানসভা ভোটের আগে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া তমলুক ও কাঁথির সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারী স্বাভাবিকভাবেই বাদ গিয়েছেন। টিকিট পাবেন না বুঝতে পেরে গত মাসে বিধানসভায় গিয়ে সাংসদপদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন টলি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানকে দীর্ঘদিন ধরেই তিতিবিরক্ত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্বেও নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে না যাওয়ার অভিযোগ ছিল বিতর্কিত টলি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই সম্প্রতি সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হওয়ার সময়েও এলাকায় পা রাখেননি নুসরত। আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বারবার দল বিরোধী এবং বিতর্কিত মন্তব্য করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছিলেন। তাছাড়া গতবার কোনও ক্রমে জিতেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে প্রার্থী করা হলে দলের হয়ে খাটবেন না বলে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা। তাই আর কোনও ঝুঁকি নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো।
গতবার লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে বিজেপির হয়ে জেতা অর্জুন সিং পরে তৃণমূলে ফিরে এলেও তাঁকে প্রার্থী করার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সোমনাথ শ্যাম-সহ শিল্পাঞ্চলের একাধিক তৃণমূল নেতা। তাছাড়া বিজেপির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রাখারও অভিযোগ উঠেছিল ব্যারাকপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ বিধানসভা ভোটের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কয়েক মাস বাদে ফের দলে ফেরেন তিনি। যদিও ‘ডিগবাজি’ খাওয়া সাংসদের উপরে ভরসা রাখেননি তৃণমূল সুপ্রিমো।