এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গঙ্গার জলবন্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণের ওপর জোর দেবে মমতার সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: চুক্তি হয়েছিল ৩০ বছর আগে। মাঝের ৩০ বছরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। নদীর নাব্যতার পরিবর্তন হয়েছে বিস্তর। নদীতে সামগ্রিকভাবে পলি বেড়েছে। ভাটার সময় বিস্তৃত চর জেগে উঠছে একাধিক জায়গায়। জোয়ার এলে চর ডুবে যাচ্ছে। বেড়েছে নদীর জলে লবণত্বের পরিমাণও। এই অবস্থায় নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, কলকাতা বন্দরকে সচল রাখতে হলে, নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে হলে এবং সর্বোপরি নদীর দু’পাড়ে গড়ে ওঠা অজস্র শহর, জনপদে পরিস্রুত পানীয় জলের জোগান অব্যাহত রাখতে গেলে জলের জোগান বাড়াতেই হবে। আর তাই জলবন্টন চুক্তির(Ganga Water Distribution Agreement) পুনর্নবীকরণ করতেই হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এপার বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। আর যে চুক্তি পুনর্নবীকরণের দিকে তাঁরা জোর দিতে চাইছেন তা হল ভারত(India) ও বাংলাদেশের(Bangladesh) মধ্যে ১৯৯৬ সালে সাক্ষরিত হওয়া গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি। ২০২৬ সালে এই চুক্তি পুনর্নবীকরণের কথা রয়েছে।

উত্তর ভারত দিয়ে নেমে আসা গঙ্গা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। সেখানে এর নাম পদ্মা। ১৯৭৪ সালে নির্মিত ফরাক্কা বাঁধ থেকে একটি ফিডার খালের সাহায্যে ভাগীরথী নদীতে জল জোগানো হয়। সেই জল এসে পৌঁছায় ভাগীরথীরই নিম্ন প্রবাহ হুগলি নদীতে(Hooghly River)। ১৯৯৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। তাঁর আমলেই গঙ্গার জলবন্টন নিয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই সময় অনেক নদী বিশেষজ্ঞই এই চুক্তির বিরোধীতা করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন এই চুক্তি কলকাতা বন্দরকে(Kolkata Port) শেষ করে দেবে। গঙ্গার নাব্যতা নষ্ট হবে। বিপন্ন হয়ে পড়বে গঙ্গা তীরবর্তী জনপদ, শহর ও জেলাগুলিও। কিন্তু তারপরেও জ্যোতিবাবু সেই সময় এই চুক্তির বিরোধিতা করেননি যার বিষফল এখন বাংলার জনতাকে ভোগ করতে হচ্ছে। কেননা চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে ফরাক্কা থেকে ১ জানুয়ারি- ৩১ মে’র মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাপ অনুযায়ী জল ভাগ হয় দুই দেশের মধ্যে। আর সেই শুখা মরশুমে বাংলার ভাগে গঙ্গায় ছিঁটেফোঁটা জল থাকে না বললেই চলে।

কিন্তু এবার এই ছবির বদল চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালে এই চুক্তি পুনর্নবীকরণের কথা রয়েছে। রাজ্যের চাহিদা ও দাবির বিষয়ে তাই আগেভাগে কেন্দ্রকে জানিয়ে রাখতে চাইছে মমতার সরকার। সেই কারণেই ঠিক করা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে হওয়া এই চুক্তির পরবর্তী প্রায় ৩০ বছরে হুগলি নদীর নাব্যতার পরিবর্তন এবং লবণত্ব বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে কেন্দ্রকে। সেই সঙ্গে জানানো হবে, কলকাতা বন্দরকে সচল রাখতে হুগলি নদীর নাব্যতা বজায় রাখা জরুরি এবং হুগলি নদীর দু’পাড়ে গড়ে ওঠা অজস্র শহর, জনপদে পরিস্রুত পানীয় জলের জোগান অব্যাহত রাখতে গেলে জলের লবণত্ব বৃদ্ধি আটকানো প্রয়োজন। এই দুই সমস্যায় ইতি টানার একমাত্র উপায় হল ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে হুগলি নদীতে জলের সরবরাহ বাড়ানো। তার জন্য চুক্তির শর্তে বদল এনে ভারতের অংশে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।

তবে যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে ভারত ও বাংলাদের মধ্যে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি সাক্ষরিত হয়নি, তাই বাংলাদেশ সরকারও গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি পরিবর্তনে নারাজ। তাঁরা এই চুক্তির মেয়াদ আরও ৩০ বছর বাড়িয়ে দিতে চাইছেন। গত ২৩ আগস্ট নয়াদিল্লিতে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে। সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আর সেটা চুক্তির মূল বিষয়ে কোনও পরিবর্তন না করেই। একই সঙ্গে মমতাও চান না এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ুক। আর এখানেই ২৪’র ভোটযুদ্ধ ও সেখানে মমতার ভূমিকা আরও গুরুত্বপূরড়ণ হয়ে উঠতে চলেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

ভোটের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর