নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বালি-নীতি(Sand Policy) রাজ্যকে বেশ ভালই টাকার মুখ দেখাচ্ছে। আর তার জেরেই বালি খাদান(Sand Mines) থেকে রেকর্ড রাজস্ব আদায়ের(Tax Collection) মুখ দেখল রাজ্য সরকার। রাজস্ব সংগ্রহ একলাফে ২০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এক বছরেই এই খাতে রাজস্ব বৃদ্ধি হয়েছে ৩ গুণ। চলতি অর্থবর্ষের এই সাফল্য দেখেই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই খাতে ১০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেটও নিয়ে ফেলেছে মমতার সরকার।
আরও পড়ুন শিক্ষকদের গ্রামে বদলি আবশ্যিক করছে মমতার সরকার
বালি চুরি জনিত রাজস্ব ফাঁকি আটকাতেই ২০২১ সালের অক্টোবরে নয়া বালি-নীতি চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্ত বালি খাদানের ওপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় West Bengal Minerals Development and Trading Corporation বা WBMDTC-কে। সেই সঙ্গে বালি তোলা থেকে গুদামজাত করা এবং তা সরবরাহ পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়ার ওপর Online-র মাধ্যমে নজরদারির ব্যাবস্থা করা হয়। সেই সময় থেকেই রাজ্য সরকার বালির জন্য Royalty ও Cess মিলিয়ে প্রতি ঘনফুটের জন্য ১.৬৭ টাকা করে নেয়। Online-এর মাধ্যমে নজরদারি চালু হওয়ায়, Q R Code বিশিষ্ট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে Royalty Slip বা E-Chalan ইস্যু হওয়ার পরেই বালি খাদান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারে বালি বোঝাই ট্রাক।
আরও পড়ুন জমি আন্দোলনে টাটাদের হয়ে মামলা লড়েছিলেন, সেই সমরাদিত্যের মৃত্যুতে শোকবার্তা মমতার
আগে এই রয়্যালটি জমার প্রমাণপত্র হিসেবে জেলা প্রশাসনের তরফে হাতে লেখা একটি স্লিপ ট্রাক চালকদের দেওয়া হতো। অনেক ক্ষেত্রে তাতে তারিখ লেখা থাকত না। ফলে একবার স্লিপে নিয়েই কাজ চালানো যেত মাসের পর মাস! আবার এই স্লিপ নকল করারও ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠত। ফলে ফাঁকি যেত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এইভাবে রয়্যালটি ফাঁকি রোখার পাশাপাশি WBMDTC’র এক্তিয়ারভুক্ত বালি খাদানগুলি নতুন করে নিলামও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আয় বেড়েছে অনেকটাই। চুরি বা ফাঁকি রুখে পাওয়া ৬০০ কোটি টাকার বেশিরভাগটাই ঢুকেছে রাজ্যের কোষাগারে। বর্তমানে রাজ্যে ৭০০’র বেশি বালি খাদান রয়েছে। WBMDTC’র এক্তিয়ারভুক্ত আরও ১০০টি খাদান নিলামের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে এপ্রিল থেকেই বালি তোলার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে রাজস্ব আরও বাড়বে। তাই আগামী অর্থবর্ষে এই খাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পুরো ১০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হচ্ছে।