নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্য কলকাতার(Kolkata) মানিকতলা থানা এলাকার ক্যানাল ইস্ট রোডের এক বাসিন্দার মৃত্যুকে ঘিরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। ২১/১, ক্যানাল ইস্ট রোডের বাসিন্দা বছর ৪৭ বছরের অনিল রজক বাগমারি রোডের একটি গ্যারাজে কাজ করেন। সহকর্মীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ সুকুমার দাস ও শিবা নামে দুই ব্যক্তি গ্যারাজে ঢুকে কোনও একটি বিষয়ে অনিলের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় অনিলকে গ্যারেজের মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর(lynching) করা হয়। পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাণ্ডব। পরে স্থানীয় দোকানিরা জড়ো হয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তখনকার মতো স্থানীয় বাসিন্দারাই অনিলকে জল খাইয়ে, প্রাথমিক শ্রুশুষা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বুধবার সকালে বাড়িতে হঠাৎ পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন অনিল। সকাল ৮টা নাগাদ পরিবারের লোকজন তাঁকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(R G Kar Medical College and Hospital) নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত(Dead) বলে ঘোষণা করেন।
ঠিক কোন কারণে অনিলের মৃত্যু হল, তা নিয়ে যথেষ্ট রহস্য ঘনিয়েছে। তাঁর সহকর্মীদের দাবি, অনিলকে মারধর করা হয়েছিল। সেই আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিবার মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের তরফে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। অনিলের সহকর্মীরা আরও জানিয়েছেন যে, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গিয়েছে যে অনিল মারধরের বিষয়ে পরিবারকে কিছুই জানায়নি। ফলে তাঁদের ধারণা, পেট ব্যথাতেই অনিলের মৃত্যু হয়েছে। তাই পরিবারের তরফেও কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর জি করেই রয়েছে। পুলিশ সমস্ত ঘটনার কথা শুনে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। অনিলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগমারি রোডে যে গ্যারেজে মারধরের ঘটনা ঘটে তা অনিলেরই। এখন দেখা হচ্ছে, অভিযুক্ত সুকুমার দাস ও শিবা নামে দুই ব্যাক্তির সঙ্গে অনিলের কী নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। চিকিৎসকরা মনে করছেন, বেধড়ক মারে হয়তো অনিলের পেটের ভিতরে কোনও অন্ত্রে মারাত্মক আঘাত লেগেছিল। তার জেরেই ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনা।