এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলায় ৮ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণা, গলদ আইনেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে আরও এক বড়সড় প্রতারণার ঘটনা সামনে চলে এল। ‘এক দেশ, এক কর’ এই ভাবনাকে সামনে এনে দেশজুড়ে মোদি সরকার(Modi Government) তড়িঘড়ি করে জিএসটি(GST) লাগু করে দেয়। মূলত দেশের কর(Tax) ব্যবস্থা সরল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই সারা দেশে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে জিএসটি চালু করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। কিন্তু যত দিন গড়াচ্ছে ততই জিএসটি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতা থেকে ব্যবসায়ী, দেশের একের পর রাজ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। জিএসটি নিয়ে এখন সব থেকে বেশি সরব হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি জিএসটি আইন ঠিকঠাক না করে দ্রুত তা লাগু করায় কার্যত তাঁদেরকেই সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রায় একই দাবি দেশের শিল্পপতিদেরও। তাঁদের অভিযোগ, জিএসটি ক্রমশ হয়ে উঠেছে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের দুর্নীতির আখড়া। তবে এর থেকেও বেশি চাঞ্চল্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার বুকে ৮ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণার ঘটনা সামনে চলে আসায়।  

আরও পড়ুন ‘কলকাতার নরেন, গুজরাটের মোদি’, বেফাঁস মন্তব্য রাহুল সিনহার

জিএসটি লাগু হওয়ার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত সেই আইনে হাজারেরও বেশি ছোটবড় পরিবর্তন করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ১দিন আগেই যে নিয়ম লাগু করেছে কেন্দ্র, ৪ দিন বাদে সেই আইনই আবার তুলে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ফলে জিএসটির ক্ষেত্রে ঠিক কোন আইন থাকবে, কোন ব্যবস্থা থাকবে, কোন পদ্ধতি থাকবে তার কোনও কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ী থেকে শিল্পপতিরা। আর এই সুযোগেই এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি জিএসটি নাগাল কাটিয়ে হাসতে হাসতে কর ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে এই সব অসাধু ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির জন্য বাংলার বুকে ২০১৭ সাল থেকে জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। তাতে রাজ্য সরকজার যে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারিয়েছে তাই নয়, রাজস্ব হারিয়েছে কেন্দ্র সরকারও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা মূলত ঘটেছে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি ক্ষেত্রে। ৩ হাজারের মতো এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বিগত ৫ বছরে। আর তার জেরেই বাংলা থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

আর পড়ুন তৃণমূলের নয়া কৌশল, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়িতে যাচ্ছেন ৪ সদস্যের দল

বাংলার শিল্পপতিদের অভিযোগ, সম্প্রতি জিএসটি আইনে যে সংশোধনীগুলি আনা হয়েছে, তাতে করদাতাদের স্বাভাবিক নিয়মে বিচার পাওয়ার রাস্তাই নেই। কর্তৃপক্ষকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে করদাতা বা ব্যবসায়ীকে কোনও নোটিস বা শুনানির সুযোগ না দিয়ে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়ার সুযোগ আছে। অফিসারদের হাতে অফুরন্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তার যে চূড়ান্ত অপব্যবহার হতে পারে, সেদিকে নজরই দেওয়া হয়নি। এর সুযোগ নিচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। শুধু তাই নয়, তড়িঘড়ি করে দেশজুড়ে জিএসটি লাগু করে দেওয়ায় তাতে প্রচুর খামতি এখনও রয়ে গিয়েছে। গোটা ব্যবস্থা এখনও সম্পূর্ণভাবে শিল্পবান্ধব হতে পারেনি। শিল্পক্ষেত্রের বেশিরভাগই ১৮ শতাংশ জিএসটির আওতায় পড়ে। কেন্দ্র সরকার জিএসটি আইনের গলদ মেরামত করে প্রতারণার রাস্তা বন্ধ করলেই জিএসটির হার কমিয়েও রাজস্ব বাড়ানো যাবে।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর