নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রত্যাশামতোই সোমবার রাত থেকে দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আর ওই আইন কার্যকর হতেই মিটিং-মিছিল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় রাজ্যের পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক করল নবান্ন। এদিন রাতেই রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা রাজ্য পুলিশকে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। মিছিল নিয়ে কোথাও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য চোখ-কান খোলা রাখতে বলেছেন।
লোকসভা ভোটে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড ঘরে তুলতে এদিন দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার কথা জানিয়েছে মোদি সরকার। এদিনই যে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে তা সবার আগে জানিয়েছিল ‘এই মুহুর্তে’ অনলাইন। এর পরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও বৈদ্যুতিন চ্যানেলে সিএএ কার্যকর করার কথা জানানো হয়। দাবানলের মতো ওই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই নবান্নে রাজ্যের মুখ্যাসচিব বি পি গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই সিএএ কার্যকর হওয়ার পরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে তা নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
পাশাপাশি জরুরি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘রাজ্যে ক্যা (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে এই নামেই ব্যঙ্গ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছুতেই চালু হতে দেব না। একজনেরও নাগরিকত্ব গেলে জোর প্রতিবাদ হবে। কোনও মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না।’ চার বছর আগে সিএএ আইন পাশ হলেও তা কার্যকর করতে কেন এতদিন অপেক্ষা করল কেন্দ্র সেই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে সিএএ পাশ হয়েছিল। তার পর চার বছর লেগে গেল! আজ নির্বাচনের দু-তিন দিন আগে সিএএ চালু করার প্রয়োজন হল? আসলে এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা। সাহস থাকলে (সিএএ) আগে করতেন। লোকসভা ভোটের আগেই করতে হল কেন?’