নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ শহরতলি এলাকার অন্যতম জনবহুল এলাকা হিসাবে গত কয়েক দশকে উঠে এসেছে নরেন্দ্রপুরের নাম। আগে যে এলাকার পরিচিতি ছিল রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক স্কুলের জন্য এখন সেই এলাকাই ক্রমাগত জনবহুল হয়ে পড়ছে একের পর এক আবাসন ও বহুতল মাথা তোলায়। লোকসংখ্যা বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধও। আর তাই এদিন অর্থাৎ সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার(State Cabinet) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীনে থানা নরেন্দ্রপুর থানাকে(Narendrapur PS) ভেঙে নতুন আরও ২টি থানা তৈরি করা হবে। নরেন্দ্রপুর থানা আগের মতোই বারুইপুর পুলিশ জেলাতেই থাকবে। তবে এই থানা ভেঙে নতুন করে তৈরি হতে চলা খোয়াদা(Khoyada) এবং আটঘরা(Aatghara) নামের দুটি থানা কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) অধীনে থাকবে। সেই হিসাবে বারুইপুর পুলিশ জেলার আকার কিছুটা কমলেও থানার সংখ্যা একই থাকছে। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা এলাকা ও থানার সংখ্যা দুটোই বাড়ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ও কাশিপুর থানাকে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ভাঙড় ডিভিশনও গঠন করা হয়েছে। সেই ডিভিশনে এখন ভাঙড় ও কাশীপুর ভেঙে তৈরি হওয়া মোট ৪টি থানা রয়েছে। এই থানাগুলি হল ভাঙড়, উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট এবং চন্দনেশ্বর। আগামী দিনে এই ডিভিশনে আরও ৪টি নতুন থানা হবে। এই ৪টি প্রস্তাবিত থানা হল হাতিশালা, বিজয়গঞ্জ বাজার, মাধবপুর ও বোদরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানা ভেঙে যে ২টি নতুন থানা তৈরি করা হচ্ছে সেই খোয়াদা এবং আটঘরা থানাও চলে আসছে ভাঙড় ডিভিশনের অধীনে। সেই হিসাবে এই ডিভিশনের অধীনে এখন ৪টি থানা থাকলেও খুব শীঘ্রই তা বেড়ে ৬টি হতে চলেছে এবং আগামী দিনে তা আরও বেড়ে ১০ হতে চলেছে। দেখার বিষয় এটাই যে নতুন থানা তৈরি হওয়া পরে দক্ষিণ শহরতলিতে অপরাধের সংখ্যা কমে কিনা।