নিজস্ব প্রতিনিধি: নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের ৮ তলার কার্নিশ থেকে রোগীর পড়ে যাওয়ার ঘটনায় দায় এড়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের তরফে বলা হয় ‘হাসপাতালের তরফে এই ঘটনায় কোনও গাফিলতি ছিল না।’ যদিও কীভাবে ওই রোগী জানলা খুলে বাইরে বেরোলেন, তা কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্নও উঠছে। বর্তমানে ওই রোগী অতি সঙ্কট জনক অবস্থায় আইটিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন বলে এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের তরফে বলা হয়, ‘ঘটনার আগে স্বাভাবিক ছিলেন রোগী। ২ ঘন্টা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। শনিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল।’ উল্লেখ্য এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের ওই রোগী জানলা থেকে বেরিয়ে ৮ তলার কার্নিশে বসেছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি বিপজ্জনকভাবে সেখানে বসে থাকেন। তাঁকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী, পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা যান। কিন্তু দীর্ঘ চেষ্টার পরও ওই যুবককে উদ্ধার করা যায়নি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ওই রোগীকে উদ্ধার করার জন্য টানা দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দমকলবাহিনী ও পুলিশের কর্মীরা চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করে ওই রোগী বসে থাকেন। কখনও কখনও দাঁড়িয়েও পড়েন। হাত নাড়তে থাকেন নিজের মতো। এমনকি দমকলকর্মীরা কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে নীচে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ঝাঁপ দেওয়ার আশঙ্কায় নীচে বিভিন্ন জাম্পিং বেড বিছিয়ে রাখা হয়। আনা হয় হাইড্রোলিক ল্যাডার। ল্যাডারে চেপে দমকল কর্মীরা একাধিকবার তাঁর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও তিনি হুমকি দিতে থাকেন। অগত্যা ল্যাডার আবার সরিয়ে নেন দমকল আধিকারিকরা। ডিজাস্টার ম্যানেজমেনন্টের কর্মীরা ঘটনাস্থলে জাল নিয়ে পৌঁছন। কিন্তু তা বিছানোর আগেই কার্নিশ থেকে ঝুলতে ঝুলতে পড়ে যান ওই রোগী।