নিজস্ব প্রতিনিধি: আপনাকে কী, কর্মসূত্রে প্রতিদিন কলকাতা আসতে হয়, আর জেলার মানুষদের কলকাতা আসা মানেই আগে শিয়ালদহ স্টেশন আসতে হবে, এরপর যে যার মতো বাস-ট্যাক্সি করে নিজেদের গন্তব্যস্থলে যান। তাই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষেরই যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে শেষ ভরসা ট্রেন মাধ্যমের। তাই অফিস টাইমগুলিতে ট্রেনের সংখ্যাও অনেক। কিন্তু মারাত্মক ভিড়ে চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যান মানুষজন, ঝুলতে ঝুলতে অফিসে যেতে হয়, আবার ফিরতেও হয় ঝুলে ঝুলে।
সেক্ষেত্রে যদি কোনদিন ট্রেন বাতিল হয়ে যায়, বা ট্রেনের লাইনে কাজ হয় তাহলে তো হয়ে গেল। পেতে সমস্যায় পড়ে যান সাধারণ মানুষজন। এছাড়া কিছু কিছু ট্রেন গ্যালোপিং। যেগুলি কিন্তু প্রতিটি স্টেশনে নয়, কিছু কিছু স্টেশনে দাঁড়ায়। যেখানে বেশি লোকজন ওঠে। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিদিন বিধাননগর স্টেশনে প্রচুর নিত্যযাত্রীদের দেখা মেলে, যারা বাড়ি ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করন। কিন্তু বেশিরভাগ শিয়ালদহ গ্যালোপিং ট্রেনগুলি রাতের বেলা বিধান নগর স্টেশনে দাঁড়ায় না।
সে ক্ষেত্রে শিয়ালদহের পর তাদের গন্তব্য হয় দমদম জংশন। যাতে যাত্রীরা খুবই বিপদে পড়ে যান। সেই কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেলওয়ে, শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, যেটি শিয়ালদহ থেকে সন্ধ্যে ০৭:১০-এ ছেড়ে যায়, ট্রেনটি গ্যালোপিং লোকাল। বিধিন নগরে দাঁড়ায় না। এবার সেই ট্রেনটি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধান নগর স্টেশনে দাঁড়াবে। ট্রেনটি বিধান নগর স্টেশনে এসে পৌঁছাবে সন্ধ্যে ৭:১৭ – তে। এতদিন এই ট্রেনটির বিধান নগরে কোন স্টপেজ ছিল না। সুতরাং এবার থেকে শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল বিধাননগর দাঁড়াচ্ছে, যা কিনা নিঃসন্দেহে সুখবর।