নিজস্ব প্রতিনিধি: সাড়ে ৪ বছর আগে বাংলার মাটিতে বিজেপির ঐতিহাসিক উত্থান চাক্ষুষ করেছিল গোটা দেশ। উনিশের লোকসভা ভোটে সেই সাফল্যের মুখ দেখেছিল বিজেপি। বাংলা থেকে সেবার তাঁরা জিতে নিয়েছিল ১৮টি আসন। তার মধ্যে ছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর, মালদা উত্তর, রানাঘাট এবং বাঁকুড়া কেন্দ্রগুলি। এই ৪ কেন্দ্রে জিতেছিলেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া(S S Ahluwalia), সাংসদ খগেন মুর্মু(Khagen Murmu), জগন্নাথ সরকার(Jagannath Sarkar) এবং সুভাষ সরকার(Subhash Sarkar)। এদের মধ্যে শেষের জন আবার পরবর্তীকালে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন। এখন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) তরফে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থী হিসাবে একটি সম্ভাব্য তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে সেখানেই নাম নেই ওই ৪ সাংসদের। মনে করা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতেই সেই তালিকা তৈরি করে তা জমা দিয়েছেন। যদিও এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত নয়। তাই প্রতিটি নামের ক্ষেত্রেই দফায় দফায় গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করেই চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে।
লক্ষ্যণীয় ভাবে যে ৪ সাংসদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৩টি ক্ষেত্রে মহিলা মুখ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার পরিবর্তে কেয়া ঘোষের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার রানাঘাটের জন্য জগন্নাথ সরকারের নামের পরিবর্তে অর্চনা মজুমদারের নাম তুলে ধরা হয়েছে। বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে সুভাষ সরকারের পরিবর্তে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম পাঠানো হয়েছে। মালদা উত্তর কেন্দ্রের জন্য খগেন মুর্মুর নাম পাঠানো না হলেও, সেখানে অপর কারোর নামও পাঠানো হয়নি। কেননা সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের জল শেষপর্যন্ত কোন খাতে গড়ায় এবং সেক্ষেত্রে বামেদের ভূমিকাই বা কী দাঁড়ায়, তা দেখেই বিজেপি ওই কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম পাঠানো হবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। তবে সেখানে যে খগেনের নাম থাকবে না সেটা একরকম নিশ্চিত। নতুন নাম যা পাঠানো হবে তা কোনও মহিলার হতে পারে বা কোনও পুরুষেরও। যদিও এইসব কিছুই যে চূড়ান্ত এমনটা ভাবার জায়গা নেই। কেননা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও নিজস্ব কিছু ভাবনাচিন্তা রয়েছে। তাঁরাই কার্যত প্রার্থী কে কোথায় হবেন, তা চূড়ান্ত করবেন।