নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০৯ সালে প্রণীত Revision of Pay and Allowances বা ROPA আইনে বলা হয়েছিল স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই চাকুরিরত হলে, দু’জনের মিলিত বাড়িভাড়া ভাতা বা House Rent Allowance যা অনেকেই HRA নামে চেনেন তা মাসিক ৬০০০ টাকার বেশি হবে না। এক্ষেত্রে বলে দেওয়া হয়েছিল স্বামী ও স্ত্রী দু’জনের মিলিত HRA কখনই ৬ হাজার টাকার বেশি হবে না। এমনকি দুইজনের একজন যদি বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি করেন ও সেখান থেকে যদি বেশি HRA পান তাহলে অপরজন সরকারি কর্মচারী হলেও কম পরিমাণে HRA পাবেন। ২০১৯ সালে সেই ৬ হাজার টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু ২০২১ সালে এক মামলায় আদালত আগের নিয়মটি বাতিল করে। আর তার জেরে রাজ্যের স্কুল শিক্ষকেরা(School Teachers) পুরো HRA পাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু অনেকেরই সেই টাকা বকেয়া হয়ে পড়ে রয়েছে। এবার সেখানেই পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর(West Bengal School Education Department)।
আরও পড়ুন বাংলায় August মাসজুড়ে চলবে ‘শিল্পের সমাধানে’ কর্মসূচি
রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বকেয়া HRA প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন, পৌলমী বসু। তাঁর দাবি ছিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বকেয়া HRA না পাওয়ার পিছনে রয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরেরই কিছু DI বা District Inspector এবং কিছু জেলা স্কুল পরিদর্শক। এরাই ইচ্ছাকরে সেই টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট তলব করে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে। সেই তলবে সচিব কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে রীতিমত হলফনামা দাখিল করে সম্প্রতি জানিয়েছেন, দ্রুত আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে। যে DI-দের ঢিলেমিতে সরকারের মুখ আদালতে পুড়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, সঠিক সময়ে বকেয়া HRA’র হিসেব এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য জেলা থেকে বিকাশ ভবনে না আসার কারণেই এই দেরি হয়েছে। তবে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর বি শরাফের ওই মামলায় জানিয়ে দেন, শুধু DI-দের বিরুদ্দে পদক্ষেপ করলেই হবে না, বিভিন্ন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রধান, প্রধান শিক্ষকরাও অসহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁদেরও সতর্ক করে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিতে হবে।