নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশকর্মীর ছোঁড়া গুলিতে পার্ক সার্কাসে জখম হন বসির আলম নুমানি এবং মহম্মদ সরফরাজ নামে দুই ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ বসির আলম নুমানির চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। কলিন্স স্ট্রিটের বাসিন্দা তিনি।
শুক্রবার পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় চোদুপ লেপচা নামে এক পুলিশকর্মী। তাঁর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন রিমা সিংহ নামে এক মহিলা। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। ২৬ বছর বয়স ওই মহিলার। গুলি চালানোর পর ওই পুলিশকর্মী নিজের কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে নিজেকেও গুলি করে আত্মঘাতী হন। শুক্রবার যখন এলোপাথাড়ি গুলি চালান ওই পুলিশকর্মী তখন গুলিবিদ্ধ হন আরও দুই ব্যক্তি তাঁদের নাম যথাক্রমে বসির আলম নুমানি এবং মহম্মদ সরফরাজ। গুলিবিদ্ধ বসিরের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। এসএসকেএম হাসপাতালে ৫টি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরের ডান কাঁধের নীচে পিঠের দিকে গুলি লেগেছে। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়া পুলিশকর্মী চোদুপ লেপচার পরিবারের দাবি, চোদুপ মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। ছুটি কাটিয়ে সদ্য কাজে যোগ দেওয়ার পর তিনি কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের আউটপোস্টে নিরাপত্তারক্ষীর হিসাবে কর্মরত ছিলেন চোদুপ লেপচা। এদিন ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেছেন, ‘চোডুপ লেপচা সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণেই তিনি এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।’ যদিও মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারের তরফে মানসিক অবসাদের কথা মানা হয়নি।