নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি লেডি কিলার তা আগে থেকে অনেকেই জানেন। খালি অনেকেই জানতেন না তিনি ভাল অভিনয় করতেও পারেন। এখন তাঁর এই গুণের দেখা মিলছে জেলের অন্দরে। আর সেই অভিনয়ের সাক্ষী থাকছেন প্রেসিডেন্সি জেলের(Presidency Jail) বাসিন্দারা। নিত্যদিন নতুন নতুন নাটক। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং শাসক দলের প্রাক্তন মহাসচিব। জেলের অন্দরে তাঁর নাটকের পর নাটক চলছে। কখনও বায়না জুড়ে দিচ্ছেন বিরিয়ানি ছাড়া মুখে কিছু তুলবেন না, কখনও বলছেন তেলেভাজা মুড়ি খাব, কখনও বা বলছেন পাঁঠার মাংসের ঝোল দিয়ে ভাত খাবো। কখনও কখনও হাজার ডেকেও তাঁর কোনও রা পাওয়া যাচ্ছে না, আবার কখনও কখনও সব দেখেশুনেও থ মেরে বসে আছেন। রবিবার তো আরও এককদম এগিয়ে নতুন নাটকের মহাভারত করে দিলেন। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকা বিপ্লবী ঋষি অরবিন্দের(Rishi Aurobinda) সেলে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলেন তিনি। আর তা দেখে বাকি বন্দীরা হেসে খুন।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি’র জালে জড়িয়ে এখন প্রেসিডেন্সি জেলের বাসিন্দা হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে ‘পয়লা বাইশ’ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। কিন্তু সেখানেই তাঁর নানা মেজাজের দেখা মিলছে নিত্যদিন। রবিবার তিনি হঠাৎই ঘুরে দেখলেন জেলের কিছুটা অংশ। আর তখনই তাঁর চোকেহ পড়ে বিপ্লবী ঋষি অরবিন্দের স্মৃতিবিজড়িত সেলটি। তা দেখেই সেই সেলে কিছুক্ষন সময়ও কাটাতে চান তিনি। হয়তো নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভেবে ফেলেছিলেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুন না করায় বাইরে থেকেই সেই সেলের মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম সেরে চলে আসেন পার্থ। আর এই নাটক দেখে জেলের অনান্য বন্দীরা কার্যত হেসে খুন। কার সেলে কে মাথা ঠেকায়! তবে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুরোপুরি নিরাশ করেননি। জানিয়েছেন আগামিকালই ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ। সেদিন পার্থকে ওই সেলে কিছুক্ষন কাটাতে সময় দেওয়া হবে। আর তা শুনে অন্য বন্দীদের খিল্লি, ‘কী ভাগ্য মাইরি। ভাগ্যিস জেলে এসেছিল। নাহলে এই সেলে সময়ই কাটাতে পারত না কুমড়োপটাশ।’