এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রের বঞ্চনায় বাংলা এবার আরও বেশি মমতামুখী

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রত্যাশা ছিল কোভিডকালে দেশের মানুষকে হয়তো কিছুটা হলেও সুরাহা দেবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু সুরাহা দেওয়া তো দূরের কথা ধনীদের আরও ধনী হওয়ার রাস্তা খুলে দিলেন নির্মলা। দেশজুড়ে তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদরা সাফ জানাচ্ছেন, এই বাজেট আদতে বড়লোকের বাজেট। সেখানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই নেই। কার্যত দেশের অর্থমন্ত্রী নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের সঙ্গে চূড়ান্ত প্রতারণা করেছেন। এই অবস্থায় বাংলার মানুষ এবার তাকিয়ে থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। আরও বলা ভাল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রীর দিকেই বঙ্গবাসী এবার তাকিয়ে থাকলেন। যদি তিনি রাজ্য বাজেটে বঙ্গবাসীর সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু সুরাহা করতে পারেন। অর্থনীতিবিদরাও জানাচ্ছেন, বঙ্গবাসী আজকের পরে আরও বেশি করে মমতামুখী হয়ে পড়বেন।

এদিনের কেন্দ্রীয় বাজেটকে মমতা এমনিতেইও তীব্র সমালোচনা করেছেন। জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট একটা শূন্য মাত্র। বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতিতে এমনিতেই জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এই বাজেটে শুধু বড় বড় কথা বলা হয়েছে। কোনও কিছুই কেন্দ্রের এই বাজেটে গুরুত্ব পায়নি। পেগাসাস-স্পিন বাজেট।’ চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে রয়েছে রাজ্য বাজেট। সেখানেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসাবে বাজেট পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার জনতা এখন সেই বাজেটের দিকেই তাকিয়ে আছেন। কেননা এদিনের বাজেটে গ্রাম্বাংলার মানুষ, শহরের বাসিন্দা, কৃষক, শ্রমিক, তরুণ প্রজন্ম তাঁদের জন্য কিছুই খুঁজে পাননি। কীভাবে তাঁরা কাজ পাবেন বা তাঁদের আয় বাড়বে সেই সুরাহাই নেই এদিনের বাজেটে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে রাজ্য সরকার যে বাজেট পেশ করেছে তাতে সরাসরি মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্পগত ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্প এনে রাজ্যবাসীর জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। সেই সব আর্থসামাজিক প্রকল্প যে বাংলার আর্থসামাজিক স্তরের উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি যে রাজ্যের অর্থনীতির বুনিয়াদকেও শক্ত করেছে তা স্বীকার করেছেন অর্থনীতিবিদরা। সেই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে আন্তর্জাতিক মহলও।

তাই কেন্দ্র থেকে এদিন চূড়ান্ত বঞ্চনার পরে এখন বঙ্গবাসী ফের মমতামুখী হয়েছেন। সবাই এখন তাকিয়ে আছেন রাজ্য বাজেটের দিকে যদি মুখ্যমন্ত্রী চলতি প্রকল্পগুলিতে আরও আর্থিক সুবিধা প্রদান করেন বা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সেই প্রকল্পগুলিকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেন। একই সঙ্গে রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী কী ঘোষণা করেন সেই দিকেও তাকিয়ে থাকবেন বঙ্গবাসী। দেশের অর্থনীতিবিদরা কিন্তু বার বার কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির চাকা দ্রুত হারে ঘোরাতে হলে দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা কোভিড ও লকডাউনের জেরে মানুষের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই যে তাঁরা খোলাবাজারে কেনাকাটা করবেন। তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা ফেরাতে না পারলে বাজারে বিক্রিবাট্টা বাড়বে না। আর সেক্ষেত্রে অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে না। দুর্ভাগ্য এর আগে বা এদিনও নির্মলা সীতারমণ সেই কথাই কর্ণপাত করলেন না। মমতা কিন্তু অর্থনীতিবিদদের সেই কথা শুনেছেন। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, পুরোহিত ভাতা, ইমাম ভাতা, ছাত্র বৃত্তি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধুর মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মানুষের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। অনেকেই স্বীকার করছেন মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের দরুন বাংলা দেশের অনান্য রাজ্যগুলির তুলনায় এই কোভিডকালেও কিছুটা হলেও উন্নতির মুখ দেখেছে। শক্ত হাতে রাজ্যের অর্থনীতি ধরে রাখতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার আমজনতাও সেই সুফল পাচ্ছেন। এদনের কেন্দ্রের বঞ্চনার পরে তাঁরা আরও বেশি করে তাই মমতামুখী হয়ে পড়লেন। অন্তত এমনটাই অভিমত রাজ্য ও দেশের অর্থনীতিবিদদের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে ,পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রির ঘরে

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ফের নালিশ তৃণমূলের

একই দেহে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে নয়া রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিতের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রাথমিক রিপোর্ট যাবে নবান্নে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর