নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের নাম করে ফোন করে চলছিল ব্যাকমেলিং। সেই সূত্রেই আদায় করা হচ্ছিল মোটা টাকা। কিন্তু শেষে সেই ফোনকলই কাল হয়ে দাঁড়ালো ‘ভরতপুর’ গাংয়ের সদস্যদের কাছে। পুলিশি হানায় গ্রেফতার হতে হল ৫জনকে, যাদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এসে সেখানকার সাইবার ক্রাইম শাখায় যোগাযোগ করেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ ছিল, পুলিশের নাম করে তাঁকে কেউ ফোন করছিল। সেখানে তাঁকে বলা হয়, তাঁর নাম জড়িয়েছে মধুচক্রের সঙ্গে। পুলিশ সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে যে কোনও মুহুর্তে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। ওই অভিযোগ থেকে তাঁর নাম বাদ দিতে লাগবে ৬ লক্ষ টাকা। সৌভাগ্যবশ্বত ওই ব্যক্তি সেই টাকা তো দেননি, উল্টে দ্রুত পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। আর তার জেরেই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউনের শাপুরজি এলাকার একটি আবাসন থেকে পুলিশ গ্রেফতার করল ৫জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি লালবাজার সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। যে নম্বর থেকে ওই ব্যক্তি ফোন পেয়েছিলেন সেই ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশের আধিকারিকেরা দেখতে পান যে, ওই মোবাইলের অবস্থান রাজারহাটের শাপুরজি আবাসনে। এরপরেই এদিন ভোরে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ওই আবাসনে অভিযান চালায়। তাতেই গ্রেফতার হয় ৫জন। উদ্ধার হয়েছে সিমকার্ড-সহ ৭টি মোবাইল ফোন এবং ৩টি এটিএম কার্ড। ধৃতরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, এই চক্রে এর আগে আর কাউকে এ ভাবে প্রতারিত করেছে কিনা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নানা ভাবে মধ্যবিত্ত ও ধনী মানুষদের ফোন নম্বর জোগাড় করে এরা তাঁদের ফোন করত। তারপর বলত মধ্যচক্রের ঘটনায় পুলিশ তাঁর নাম পেয়েছে। যে কোনও মুহুর্তে তিওনি গ্রেফতার হতে পারেন। তাতে সমাজে সম্মানহাণি হতে পারে। এই সম্মাণহাণির ঘটনাতেই ওই সব লোকেরা ভয় পেয়ে যেতেন ও এদের দাবি মতো মোটা টাকা এদের হাতে তুলে দিতেন। এভাবেই চলছিল এই প্রতারণা চক্র।