এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

SUCI’র  ব্রিগেড মঞ্চ থেকে নিশানা CPIM-ISF জোটকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। সেই প্রশ্ন এখনও ঝুলে রয়েছে। এবার সেই প্রশ্নকেই আরও বৃহত্তর মঞ্চে উপস্থিত করে দিল। আর তার জেরে তীব্র অস্বস্তিতে বাংলার বামফ্রন্ট(Leftfront)। নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি বলে জাহির করা বাম শিবিরের নেতা থেকে ফ্রন্টের বড় শরিক CPIM থেকে থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ দিতে চলে আসে বাংলার রাজনীতিতে। এবার কার্যত তাঁদেরই ধর্মনিরপেক্ষতার পাল্টা পাঠ দিয়ে দিল বাংলা তথা দেশের আরেক বাম দল SUCI। ৩৫ বছর ব্রিগ্রেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামপন্থী দল SUCI, যাদের সঙ্গে জোট গড়েছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল(TMC) ও এসইউসিআই জোট বেঁধে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে এনেছিল। এদিন সেই মমতার বাংলায় দাঁড়িয়ে মমতার শহরের ব্রিগেডের মাঠ থেকে এসইউসিআই আক্রমণ শানল বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআইএম-কে। আর সেই আক্রমণের বিষয় হয়ে উঠল বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট।

আরও পড়ুন Cyber Crime’র দ্রুত তদন্তের স্বার্থে ৮০০ পুলিশকর্মীকে প্রশিক্ষণ

একুশের ভোটের মুখে বামফ্রন্টের সঙ্গে ISF’র জোট হয়েছিল। যদিও সেই সময় ওই জোট মেনে নেয়নি বামেদের আরেক জোটসঙ্গী কংগ্রেস। সেই সময় থেকেই বাম শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছিল কেন একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে জোট গড়া হচ্ছে? সেই প্রশ্ন আজও ঝুলে রয়েছে? ওই প্রশ্নে ক্ষোভ রয়েছে বাম শিবিরের অন্দরেও। একুশের ভোটে বাংলার বিধানসভা থেকে কংগ্রেস ও বাম দুই শিবিরই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও ISF’র তরফে জয়ী হন নওশদ সিদ্দিকি। এবার সেই ISF ও CPIM’র জোট নিয়েই আক্রমণ শানলো SUCI। দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিবদাস ঘোষের ১০০ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন ব্রিগেডে প্রকাশ্য সমাবেশের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। দেশের ২৬টি রাজ্য থেকে এসেছে তাঁদের প্রতিনিধিরা। সেই মঞ্চ থেকেই ISF ও CPIM’র জোট নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ(Provash Ghosh)।

আরও পড়ুন Artificial Intelligence শেখাতে গাঁটছড়া TCS ও Kharagpur IIT’র

এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আলিমুদ্দিনকে নিশানা বানিয়ে প্রভাষ ঘোষ বলেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ সিপিআই লোকসভায় সর্ববৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দল ছিল। ১৯৬৪ সালের সিপিএম তৈরি হওয়ার পর তাঁরা কেরল, ত্রিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল। ১৯৭৭ সাল থেকে একটানা ৩৪ বছর তাঁরা বাংলার সরকার চালিয়েছে। আজ তাঁদের অবস্থা কী? বাংলায় নির্বাচনে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য তাঁরা কংগ্রেসের হাত ধরেছে। ক্ষমতার জন্য একজন পীরকে ধর্মনিরপেক্ষ সাজিয়ে তাঁর হাত ধরেছে। আজকে এই হচ্ছে সিপিএমের অবস্থা। SUCI-কে অনেক বাম মনোভাবাপন্ন দল ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিল। সেই সময় যাঁরা এই দলকে বিদ্রুপ করেছিল, তাঁরা আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। এসইউসিআকে ব্যাঙের ছাতা বলে বিদ্রুপও করা হয়।’ ঘটনাচক্রে এদিনই আবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ISF কর্মী যেমন ভাঙড়ে গ্রেফতার হয়েছে তেমনি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকী বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এক পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী এক নির্দল প্রার্থীর সার্টিফিকেট আটকে রাখার। এবার তার মাঝেই এল SUCI’র বাণ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তীব্র গরমে কলকাতায় বাড়ছে জল সমস্যা,পথে নামল পুরসভা

মেট্রো পরিষেবার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

খাস কলকাতায় যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, শুরু তদন্ত

বাজপেয়ি-আদবানি আমলের নেতাকর্মীরা বসে যাচ্ছেন, চাপে বিজেপি

আদর্শ আচরণবিধির গেরোয় আটকে Property Tax-এ প্রবীণদের ছাড়

প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল, প্রথম চন্দ্রচূড় সেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর