নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার পরিবেশ দূষণ রোধ করতে ও মাত্রাতিরিক্ত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিকল্প হিসেবে রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএনজি (CNG) ও ইলেকট্রিক বাস (Electric Bus) চালানোর। কলকাতা সহ রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় চলে ডিজেল চালিত বাস। ২০০৯ সালের ১ আগস্টে কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে উধাও হতে চলেছে প্রায় সমস্ত বেসরকারি বাস। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, মেট্রোপলিটন এলাকায় চালানো যাবে না ১৫ বছরের বেশি পুরানো বাস। এদিকে তৈরি হয়নি নতুন বাসের পরিকাঠামো বা কী ভাবে কেনা যাবে সিএনজি বা ইলেকট্রিক বাস তা নিয়েও ধন্দে বেসরকারি বাসমালিকরা। সেই প্রশ্ন থেকেই বেসরকারি বাসমালিকরা চিঠি দিয়েছে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।
বাসমালিকদের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য প্রস্তাব দিয়েছে সিএনজি ও ইলেকট্রিক বাস চালানোর। তবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট নীতি জানা নেই বাসের মালিকদের। তাঁরা ধন্দে রয়েছেন। সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। আরও জানতে চাওয়া হয়েছে, ইলেকট্রিক বা সিএনজি বাস কিনতে হলে কী ভাবে ঋণ পাওয়া যাবে। তাঁদের আবেদন, রাজ্য সরকার যেন সুস্পষ্ট বিকল্প পরিবহণ নীতি তৈরি করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকায় চলে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বাস। কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) রায়ে বন্ধ করে দিতে হবে ১৫ শতাংশ বাস। মানে যেই বাস গুলি ১৫ বছরের পুরানো। সব মিলিয়ে রুটি রুজির প্রশ্নে রাজ্যের মুখাপেক্ষী বেসরকারি বাসমালিকেরা।
অন্যদিকে, বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের রায় মেনে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার চলা হলুদ ট্যাক্সি কমে এখন চলাচল করে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার। তাঁদের আশঙ্কা আগামী ৩ বছরের মধ্যে তাও আর দেখা যাবে না। এই সংগঠনের পক্ষ থেকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে পরিবহণমন্ত্রীকে (Transport Minister)। ট্যাক্সি (Taxi) অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার ইলেকট্রিক ট্যাক্সির কথা বলেছে কিন্তু তা লাভজনক হবে কি না, তা জানাক সরকার।