নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্বতনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মিছিলে হাঁটলেন বর্তমানজন। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায়(Ration Distribution Corruption Case) রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা অধুনা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে(Jyotipriya Mallik) গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED বা Enforcement Directorate। সেই গ্রেফতারির নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে এদিন অর্থাৎ শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক শহরে প্রতিবাদ মিছিল বার করে তৃণমূল(TMC)। এর মধ্যে মধ্যমগ্রামে মিছিল করলেন রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ(Rathin Ghosh)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বকেয়ার জন্য যে আন্দোলন করছেন, তাতে বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই প্রতিহিংসার বশে তৃণমূলের নেতা এবং মন্ত্রীদের বাড়িতে ED ও CBI-কে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার মধ্যমগ্রাম শহর তৃণমূলের তরফে যে মিছিল বার করা হয় তার সামনেই ছিলেন রথীন। বস্তুত, জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে হানা দেওয়ার আগে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছে ED। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেটা রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলায় নয়, ED গিয়েছিল পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। বস্তুত বালুর গ্রেফতারি নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন রথীন। এদিনও তিনি সোচ্চার হয়েছেন এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে। জানিয়েছেন, ‘এটা বিজেপির চক্রান্ত। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা নিয়ে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন করছিলেন, তার অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য কি এই সব গ্রেফতারি? বিজেপি CBI এবং ED’র মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে আমাদের লোকেদের হয়রান এবং হেনস্থা করছে। এর প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। জেলায় জেলায় তৃণমূলের আন্দোলন অব্যাহত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। তাই পাল্টা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তাঁরা।’
যদিও এদিন জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি রথীন। তাঁর কথায়, ‘এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষে কী হয় দেখা যাক। কিন্তু আমাদের বক্তব্য একটাই। এই ED-CBI হানা তখনই বাড়ছে, যখন অভিষেক রাজ্যের বকেয়া চেয়ে আন্দোলন করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা পথে নামলাম।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। পুরনিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা ABS Infozone’র অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথিতে সেই রথীনের নাম বার বার উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে ED। ২০১৪’র পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মেলারও দাবি করেছেন তাঁরা। তার ভিত্তিতে রথীনের বাড়িতে অভিযান হয়। যদিও রথীনের দাবি, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই তল্লাশি হয়েছিল। তাঁকে হেনস্থা করতেই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন ED আধিকারিকেরা। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথিই তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়নি।