নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাড়া বাড়ানোর পথে পুর দপ্তরের আওতাধীন সরকারি আবাসন। মূলত আবাসনগুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই পুর দফতরের এই সিদ্ধান্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি আবাসনের ভাড়া অনেকটাই কম। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আবাসনের ভাড়া কত হওয়া উচিত, পুর দফতরের তরফ থেকে তার তালিকা মাস তিনেক আগেই তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই তালিকা তৈরি হলেও কবে থেকে এই নতুন ভাড়া কার্যকর হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
পুর দফতরের এক কর্তা মঙ্গলবার জানান, মূলত সরকারি কর্মীদের জন্যই এই আবাসন। কিন্তু, ভাড়া কম হওয়ার কারণে অনেকেই চাকরি থেকে অবসরের পরেও আবাসন ছেড়ে যেতে চান না। ফলে ভাড়া বাড়ালে স্বাবাভিকভাবেই তাঁরা ঘর ছেড়ে দেবেন। আর ভাড়া বাড়লে রক্ষণাবেক্ষণও ভালো হবে।
জানা গিয়েছে, পুর দফতরের ৫টি আবাসন রয়েছে সল্টলেকে। প্রতিটি আবাসনে আয়তনের ভিত্তিতে ৫ টাইপের ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে ডি টাইপ ফ্ল্যাটের আয়তন ৫৭০ বর্গফুট। ভাড়া ১২০০ টাকা। এস টাইপ ফ্ল্যাটের আয়তন ১৩০০ বর্গফুট। অথচ ভাড়া মাত্র ৪ হাজার টাকা।
দীর্ঘদিন ধরে পুর দফতরেরআবাসনগুলির বেহাল দশা। মেরামতের আর্জি জানিয়ে লাভ হয়না। পুর দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, সল্টলেকের মতো এলাকায় ৫৭০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের ভাড়া ১০-১২ হাজার টাকা। ফলে, মেরামত করার জন্য ভাড়া বাড়ানো জরুরি।
সরকারি সূত্রে খবর, সল্টলেকে বর্তমানে ফ্ল্যাটের ভাড়া কত তা খতিয়ে দেখেই দফতরের আধিকারিকরা প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা, ফ্ল্যাটের আয়তনের তথ্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের অফিসে পাঠিয়েছেন। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই জেলাশাসকের দফতরের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।