নিজস্ব প্রতিনিধি: গত রবিবার বিক্ষিপ্ত হাঙ্গামার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন(Municipal Election)। প্রায় ১১ হাজার বুথে সেদিন ভোটদান করেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে যে ভোটের নামে কার্যত প্রহসন হয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayet Election) সময়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে সেই ভাবেই এবারে পুরনির্বাচনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে লুঠ করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের এহেন অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁদের দাবি, বিরোধীরা মানুষের থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন হারের ব্যাখা তুলে ধরার জন্যই এইসব কথা বলছে। এই অবস্থায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankhar) রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে(Sourav Das) রাজভবনে ডেকে পাঠান গতকাল। সেখানে দুইজনের বৈঠকের পরেই কমিশন জানায় ২টি বুথে এদিন ফের পুনর্নির্বাচনের কথা জানায় কমিশন। এদিন সকাল ৭টা থেকে সেই দুই বুথে চলছে ভোটগ্রহণের পালা।
মঙ্গলবার সকালে যে দুটি বুথে ফের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে সেই ২টি বুথ রয়েছে দক্ষিণ দমদম(South Dumdum) ও শ্রীরামপুর(Sreerampur) পুরসভা এলাকায়। কার্যত কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় চলছে সেই ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে ও শ্রীরামপুর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথে এদিন ভোটগ্রহণকালে যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয়, তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই দুই বুথে ঢোকার সব রাস্তা কার্যত ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। তবে ২টি বুথেই ফের ভোটদানের জন্য ভোটারদের সেভাবে কোনও উৎসাহ এদিন দেখা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এদিন কাজের দিন বলেই ভোটাররা আর বুথ মুখো হওয়ার সুযোগ পাননি। তবে এদিন এই দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন নিয়ে কটাক্ষ হেনেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয়, রাজ্যপাল বলেছেন বলেই, তাঁর সম্মান রক্ষার্থে দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন করা হচ্ছে। ইচ্ছা ছিল না। কারণ, সরকারি অঙ্গুলি হেলনে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। সরকার চাইছে বিরোধীশূন্য রাজনীতি। সমস্ত প্রার্থীকে সরিয়ে কেবলমাত্র টিএমসি থাকবে, যেটা তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে করেছে।’