নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতি তাঁর কাছে নতুন নয়। কার্যত রাজনীতির জগতেই তাঁর অবাধ বিচরণ। সেই রাজনীতিতেই একসময় কিছুটা কোনঠাসা হয়ে দল ছেড়েছিলেন। সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের জার্সি গায়ে গলালেও জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। তাই ফিরে এসেছেন আগের দলেই। হয়েছিলেন দলের প্রার্থীও। জিতেও গেছেন। আর এবার তো তাঁকে ঘিরে আবারও জল্পনা ডানা মেলে দিল। ফের কী বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পদেই ফিরছেন তিনি! নজরে সব্যসাচী দত্ত। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচনী গণনা শুরু হয়েছিল। সময় যতই এগিয়েছে ততই তৃণমূল সুনামি আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছে চার পুরনিগম এলাকাতেই। বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে জয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। জয়ী হয়েছেন এক নির্দল প্রার্থীও। তিনিও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। জয়ী হয়েছেন এক বাম প্রার্থীও। আগামিদিনে তিনিও যদি তৃণমূলে যোগ দেন তাহলে বিধাননগর পুরনিগম হবে বিরোধী শূণ্য। আর সব্যসাচী তিনি কী ভাবছেন, বলছেন?
এদিন বিধাননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে ৪ হাজার ৬৪৪ ভোটে জয়ী হলেন সব্যসাচী। আর জয়ের মুখ দেখেই সস্ত্রীক সোজা হাজিরা দিলেন তিনি কালিঘাটে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া আর তারপর আবারও তৃণমূলে ফিরে আসার এই সব্যসাচী অধ্যায়ে এটাই বিধাননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়রের মমতার গৃহে প্রথমবার পদার্পণ। এদিনই ভোটে জেতার পরই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা সব্যসাচী দত্তকে প্রথমবার দেখা গেল কালীঘাটে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ইন্দ্রাণী দত্তও। দলনেত্রীর কাছ থেকে সেখানে স্ত্রীর জন্য শাড়ি উপহার পান সব্যসাচী। এরপরেই সব্যসাচীকে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানে অভিষেকের সঙ্গে সস্ত্রীক সব্যসাচীকে ভিক্টরি সাইন উঁচিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায়। পাশাপাশি সেখানেই সব্যসাচী মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমে। বলেন, ‘জয়ের পর দলনেত্রীর আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম। দিদি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন, আজ ভ্যালেন্টাইন’স ডে, ও তোমাকে কী দিয়েছে? স্ত্রী জবাবে জানিয়েছেন, কিছুই না। তখন লতাদি’কে বলে একটি শাড়ি আনিয়ে স্ত্রীকে দিয়েছেন। আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিধাননগরের সমস্ত বাসিন্দাদের এই জয় উৎসর্গ করছি। এই জয়ের কারিগর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’