নিজস্ব প্রতিনিধি: জি ডি বিড়লা স্কুল গ্রুপকে ঘিরে জটিলতা কিছুতেই কমছে না। উল্টে এবার জি ডি বিড়লা গ্রুপের(G D Birla Group) বিরুদ্ধে উঠে গিয়েছে আদালত অবমাননার অভিযোগ। সেই অভিযোগ জানিয়ে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা ঠুকতে চলেছে অভিভাবকদের(Parents) একাংশ। কেননা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের(Students) ক্লাস করা আটকানো যাবে না। নতুন ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রেও ফি(Fees) কোনও বাধা হবে না। কিন্তু গত শনিবার জি ডি বিড়লা গ্রুপের তরফে তাঁদের স্কুলগুলিতে নোটিস দিয়ে জানানো হয় সোমবার থেকে তাঁদের স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে সব পড়ুয়ার বেতন বকেয়া নেই কেবল তাঁরাই ক্লাস করতে পারবে। সেই নোটিস মতো এদিন সকালেই জি ডি বিড়লা গ্রুপের স্কুল গুলি খুলে গেলেও যে পড়ুয়ার বেতন বকেয়া রয়েছে তাঁদের ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। আর তার জেরেই ওই সব পড়ুয়ার অভিভাবকেরা এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন এদিনই।
এই বিষয়ে আদালতমুখী অভিভাবকদের তরফে দেবাশিস বসু জানিয়েছেন, ‘এর আগে আদালতের নির্দেশে ৪ তারিখ যখন স্কুল খুলেছিল, তখন দেখা গেল মিডিয়ার সামনে সবাইকে স্কুলে ঢুকিয়ে নিল। কিন্তু ক্লাসে ঢুকতে দেয়নি। গ্যারেজে বসিয়ে রেখে দিয়েছিল। এখন আদালত কিন্তু স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সব পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিট। কিন্তু এনারা তো কিছুই মানছেন না। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশও না মেনে যে সব পড়ুয়ার বেতন বাকি আছে তাঁদের বাদ দিয়েই এদিন থেকে স্কুল চালু করে দিয়েছে। এটা পুরোপুরি আদালত অবমাননার ঘটনা। তাই আমরা আদালতকে সব কিছু জানিয়েছে। দেখি কী হয়। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাব। পাশাপাশি গোটা ঘটনা রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছে। সমস্যার সমাধানে তাঁদের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি।’