নিজস্ব প্রতিনিধি: রেকর্ড বললেও কম বলা হবে। কার্যত নজীর গড়ল মমতার(Mamata Banerjee) বাংলা। রাজ্যের ১৬ লক্ষ মানুষ চলে এলেন ২টি ভাতার আওতায়। একটি বার্ধক্য ভাতা(Old Age Pension) এবং অপরটি বিধবা ভাতা(Widow Pension)। তবে এই সাফল্য শুধু রাজ্য সরকারের নয়। সেখানে সাফল্য লুকিয়ে আছে মোদি সরকারেরও(Modi Government)। কেননা এই ২টি ভাতার ক্ষেত্রেই কেন্দ্র সরকার ৬০ শতাংশ টাকা দেয়। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। এই দু’টি ক্ষেত্রেই নাম তোলার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। উপভোক্তাদের কারও মৃত্যু হলে সেই জায়গায় নতুন নাম নথিভুক্ত হয়। এছাড়াও নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছলে ও যোগ্য হলে আবেদন করতে পারে মানুষ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের বুকে শুরু হয়েছিল ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি যা চলে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই সময় বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার যে সব আবেদন জমা পড়ে সেগুলির মধ্যে কার কার আবেদন গৃহিত হয়েছে তার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে নয়া পর্যায় এই রাজ্যে(Bengal) বার্ধক্যভাতার উপভোক্তার সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিধবা ভাতার প্রাপকের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ ছুঁইছুঁই।
আরও পড়ুন ED’র নজরে এবার ২৫০০ স্কুলশিক্ষক, যেতে পারে চাকরি
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এইবছর ২ লক্ষেরও বেশি নতুন উপভোক্তা বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার আওতায় এছেছেন। ভাতাপ্রাপকদের জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন সেই সব নতুন প্রাপকদের আধার সংযোগের কাজ করছে পঞ্চায়েত দফতর। সেই কাজও কার্যত শেষের পথে। কোনও যোগ্য আবেদনকারীর নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না যায় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে জেলা প্রশাসনগুলিকে বলেছিল নবান্ন। সেই মতো ব্লকে ব্লকে যোগ্য ব্যক্তিদের খোঁজখবর করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই দু’টি প্রকল্পের আওতাধীন লক্ষাধিক মানুষ এই মাস থেকেই টাকা পাবেন। বাকিরা কিছুদিন পর থেকে টাকা পেতে শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই পর্যায় বার্ধক্যভাতায় নাম উঠেছে ১ লক্ষ ৮ হাজার ২০১ জনের। এঁদের মধ্যে ৬৮ হাজার ২৫৭ জন চলতি মাস থেকেই টাকা পাবেন। এছাড়াও ১ লক্ষ ২ হাজার ৬৬৩ জন মহিলার নাম বিধবা ভাতায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৮ হাজার ৫২৭জন এ মাস থেকেই টাকা পাবেন।
আরও পড়ুন ১৮ কেটে ৮১, ১৯ কেটে ৯১, নজরে কৃষি দফতরের ৩৪জনের চাকরি
মোদি সরকারের তরফে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা প্রকল্পের উপভোক্তারা যাতে নিয়মিত টাকা পান তার জন্য তাঁদের আধার সংযোগের ওপর বাড়তি জোর দিতে বলা হয়েছিল নবান্নকে। দেখা গিয়েছে, বিধবা ভাতা প্রকল্পে ৮০ শতাংশের বেশি উপভোক্তার আধার নম্বর ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে। বার্ধক্যভাতার ক্ষেত্রে আধার সংযুক্তিকরণের হার তুলনামূলকভাবে কম। সব থেকে বড় বিষয় এই ২টি প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলা। মোদি সরকার এই মর্মে রিপোর্ট পেশ করলে বোঝা যাবে সামগ্রিক ভাবে দেশের অনান্য রাজ্যগুলির নিরিখে বাংলা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে।