এই মুহূর্তে




ED’র নজরে এবার ২৫০০ স্কুলশিক্ষক, যেতে পারে চাকরি




নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুলের Group-D কর্মীর। কিন্তু এই গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ED’র সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ২ হাজার জনের বাইরে আরও ২৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা এখন তাঁদের নজরে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, এই আড়াই হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এখন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত। এরা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে(Manik Bhattacharya) টাকা দিয়ে চাকরি ‘পেয়েছিলেন’। এবার এদের দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টেও তুলে ধরা হবে বিস্তারিত ভাবে। যদি ঘটনা প্রমাণিত হয় তাহলে এই ২৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরিও যাবে।

আরও পড়ুন BSK-তে আধার পরিষেবা দিতে ৩ হাজার পদে নিয়োগ শীঘ্রই

ED’র আধিকারিকদের দাবি, গত বছর মানিকবাবুর যাদবপুরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য, ডিজিটাল নথি, মোবাইল ফোন, সিডি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সিডির একটি ফোল্ডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা রোল নম্বর সহ চার হাজার পরীক্ষার্থীর নামের একটি তালিকা পেয়েছেন। সেই তালিকায় থাকা নামগুলি তাঁরা মিলিয়ে দেখেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিভিন্ন সময়ের নিয়োগ প্যানেলের সঙ্গে। আর তা দেখে রীতিমত তাঁরা চমকে উঠেছেন। কেননা নিয়োগ প্যানেলে নাম থাকা আড়াই হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে মানিকের বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায়। অর্থাৎ মানিকের কাছে থাকা ৪ হাজারেরও বেশি প্রার্থীদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। ED’র আধিকারিকদের ধারনা এরা কার্যত মানিককে ‘ঘুষ’ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন এবং এখনও রাজ্যের স্কুলে স্কুলে চাকরি করে চলেছেন। ওই তালিকায় নাম থাকা যারা চাকরি পাননি তাঁরা সম্ভবত টাকা দেননি। যেহেতু টাকা দেননি তাই চাকরিও পাননি। এবার এই ‘ঘুষ’ দিয়ে চাকরিপ্রাপকদেরই একে একে ডেকে পাঠাতে চাইছে ED। তবে তার আগে গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে তুলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন মেলায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে মৃত ৪, আহত ১০

মানিকবাবু ২০১১ সাল থেকে টানা ১০ বছর রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর এই এক দশকের রাজত্বপাটের কালে ৫৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে। এই নিয়োগের কতটা আইনি আর কতটা বেআইনি, তা নিশ্চিত করত্যে চাইছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED আধিকারিকেরা। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ইডি কার্যত নিশ্চিত, মানিকের সময়ে নিয়োগ হওয়া এই প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপের আশ্রয় নিয়েছিলেন মানিক। এর পাশাপাশি B.Ed, Dl.Ed ও প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার বদলেও মানিকবাবু ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay) ভূরি ভূরি টাকা নিয়েছেন বলে মনে করছেন ED’র আধিকারিকেরা। ওই কলেজগুলিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে ভর্তি হওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু যাঁরা পর্ষদ নির্ধারিত সময়ে ভর্তি হতে পারেননি, তাঁদের অফলাইনে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য মানিকবাবু ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা ‘রেট’ ধার্য করেছিলেন। এই খাতের টাকা নগদে সংগ্রহ করে মানিকের কাছে পৌঁছে দিতেন তাপস মণ্ডল। সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির সম্পাদক, চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষরা তাঁদের কাছে একথা স্বীকারও করেছেন বলে দাবি ED’র আধিকারিকেরা। ২০১৮ সাল থেকে এই পদ্ধতিতে মানিকবাবুর হাতে পৌঁছেছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

চাহিদা তুঙ্গে, বর্ধমান থেকে মালয়েশিয়ায় গেল জামদানি

মাত্র ৯৯৯ টাকা ! পুজোয় ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে, মিলবে একাধিক সুবিধা

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি প্রতারণা চক্রের হদিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর