নিজস্ব প্রতিনিধি: হাজির তিনি হাজির। ‘দিদি’র কানন হাজির ‘দিদি’র কাছ থেকে ভাইফোঁটা(Bhaifnota) নিতে। বুধবার দুপুরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাড়িতে হাজির শোভন চট্টোপাধ্যায়(Sovon Chatterjee)। সঙ্গে আবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সক্রিয় রাজনীতির আঙিনা থেকে আপাতত দূরে থাকলেও ভাইফোঁটার দিনে বিগত বছরগুলিতেও মমতার বাড়িতে দেখা মিলেছে কাননের। এবারও ‘মমতাদি’র স্নেহের পরশ লেগেছে শোভনের কপালে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কপালে চন্দনের ফোঁটা নিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আবেগে ভাসলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গে সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে গেলেও বার বার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল(TMC) থেকে বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে তাঁকে আলাদা করা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ফোঁটা নিয়ে বেরিয়ে শোভন বললেন, ‘আজ ভীষণ আবেগের একটা দিন। মমতাদির প্রতি শ্রদ্ধার দিন। মমতাদির আমার প্রতি যে অন্তরের ভালবাসা ও টান রয়েছে, তার কোনও বিকল্প হয় না। এটা আমি উপলব্ধি করি। পরিকল্পিতভাবে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য কেউ কেউ পরিকল্পিতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত করছেন। মমতাদির বিরুদ্ধে চক্রান্ত হলে, আমার মতো বাংলার বহু মানুষ নিজেদের কলিজা দিয়ে সবকিছুকে রক্ষা করবে। পরিকল্পিতভাবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দুর্বল করার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার প্রভূত ক্ষতি হবে। কেউ সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। মমতাদি পশ্চিমবঙ্গের উপর বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে রেখেছেন। এই ছায়া যাতে কেউ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য আমি সবসময় তৈরি ছিলাম, এখনও আছি। মমতাদি যখন সঙ্গে থাকেন, তখন বাকি কিছুর দরকার হয় না। আবার বাকি সব থাকল, কিন্তু মমতাদি যদি অভিমান করে থাকেন, সেগুলিরও কোনও মূল্য থাকে না।’