নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে রাজ্যের ৪টি পুরনিগমের ভোট। আবার ২৭ ফেব্রুয়ারি রয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাবার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। আবার শুধুমাত্র বিধাননগর পুরনিগমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা প্রদানকে ঘিরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সল্টলেকের বাসিন্দা ছবি বসু। এই ৩টি মামলার শুনানি একসঙ্গেই হচ্ছিল। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশান বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী ভাবছে তা বুধবারের মধ্যে জানাতে হবে। সেই মর্মে এদিন কমিশন জানিয়ে দিল, পুলিশেই তাঁদের আস্থা রয়েছে। পুলিশ দিয়েই তাঁরা পুরনির্বাচন করাতে চান।
কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের আগেও কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেখানেও কমিশন জোর গলাতেই পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর পক্ষেই সাওয়াল করে। সেই মতো কলকাতা পুরনিগমে পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হয়। সেই ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই মেটে। তাই এবারেও কমিশন পুলিশ দিয়েই পুরভোট করানোর পক্ষে সাওয়াল করেছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জানিয়েছে, তাঁদের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হলে ভোটদাতাদের আস্থা বাড়বে। তবে এর বেশি কিছু বিচারপতি বলেননি এবং এই মর্মে এদিন কোনও নির্দেশও জারি করেননি। সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু বিধাননগর সহ রাজ্যের ৪টি পুরনিগমের ভোট হতে আর বেশি সময় নেই তাই আদালতও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে চায় না। এই চার পুরনিগমে পুলিশ দিয়ে কমিশন নির্বিঘ্নে ভোট করাতে সক্ষম হচ্ছে কিনা দেখেই আগামী দিনে সম্ভবত এই মামলার রায় দিতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের এহেন অবস্থানে আবারও ধাক্কা খেতে হল বিজেপিকে। কার্যত খালি হাতেই তাঁদের ফেরত আসতে হচ্ছে।