নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও সংবাদের শিরোনামে ও বিতর্কের মুখে বৈদিক ভিলেজ(Vedic Village Resort)। কেননা কলকাতা(Kolkata) লাগোয়া রাজারহাটের(Rajarhat) এই বিলাসবহুল রিসর্টের বিরুদ্ধে এবার উঠেছে গণধর্ষণের অভিযোগ। যদিও ঘটনার জেরে পুলিশ(Police) দ্রুত ৪জনকে গ্রেফতারও করেছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রিসর্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এখানেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বৈদিক ভিলেজ রিসর্টের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে রাজ্য সরকার। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কোনও পুলিশ আধিকারিক। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষও এই ধরনের কোনও সম্ভাবনার কথা জানায়নি।
আরও পড়ুন বাংলায় ব্রাত্য, বীরভূমে স্বাগত, নজরে আয়ুষ্মান ভারত
জানা গিয়েছে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গত ৯ নভেম্বর রাতে। সেইদিন এক বান্ধবীর বাবার জন্মদিনের পার্টিতে(Birthday Party) আমন্ত্রিত হয়ে ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেই পার্টিতে ১০-১২জন তাঁর পূর্ব পরিচিত যুবকও ছিল। তাঁদেরই একজন তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় দেয় যা খেয়ে তিনি সংজ্ঞা হারান। সকালে হুঁশ ফিরলে তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে নির্যাতিতা এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর। নির্যাতিতাকে একাধিকবার গণধর্ষণ যে করা হয়েছে ইতিমধ্যেই তার রিপোর্ট মিলেছে মেডিকেল টেস্টে। শুক্রবার নির্যাতিতা রাজারহাট থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। রাতের মধ্যেই ৪জন যুবককে পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে। তাদের এদিন অর্থাৎ শনিবার বারাসর মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। নির্যাতিতার দাবি তাঁকে রীতিমত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেকে এনে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সেখানে থাকা ওই ১০-১২জন যুবক জড়িত।
আরও পড়ুন মমতার সরকারের নয়া মাইলফলক ‘স্বজল গ্রাম’, কটাক্ষ বিজেপির
নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজারহাট থানায় গতকাল রাত থেকেই গ্রেফতার হওয়া ৪ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের কালে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার গৌরব শর্মা, ডিসি নিউটাউন, এসিপি রাজারহাট ও বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ আধিকারিকেরা। তবে অভিযুক্তদের সম্পর্কে পুলিশকে কোনও তথ্যই দিতে পারেনি বৈদিক ভিলেজ রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এখন এই রিসর্টের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করতে চাইছে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনায় রিসর্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। যদিও রিসর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ঘটনার পরেরদিন নির্যাতিতা তাঁদের কিছুই জানাননি গণধর্ষণ সম্পর্কে। তাঁরাও এই বিষয়ে কিছু জানেন না। আর এখানেই রিসর্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার জেরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে রিসর্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় সন্তুষ্ট না হলে রিসর্টের লাইসেন্স বাতিল করার পথে হাঁটতে পারে।