নিজস্ব প্রতিনিধি: একই দিনে দেশের দুই শহরে বাংলার শাসক দল ও প্রধান বিরোধী দলের দুই পৃথক পৃথক কর্মসূচি। আর সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েই কেউ খোয়ালেন জুতো তো কেউ খোয়ালেন মোবাইল। কারও বা পকেট থেকে হারিয়েই গেল ম্যানি ব্যাগ। মানে পাতি বাংলায় পুজোর আগে পকেটমারদের পোয়াবারো। হাতসাফাইয়ের বেশ সুন্দর একটা সুযোগ পেয়ে গেলেন তাঁরা। এদিন দিল্লিতে(New Delhi) তৃণমূলের(TMC) ধর্না কর্মসূচিতে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু(Sujit Basu) হারিয়েছেন তাঁর জুতোখানি। আবার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের(Shantanu Sen) খোয়া গিয়েছে মোবাইল। কলকাতায়(Kolkata) বিজেপির(BJP) মহিলা মোর্চার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে টাকার ব্যাগ খুইয়ে বসেছেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা(Anup Saha) ও কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস(Ashish Bishwas)।
দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে ধর্না দিতে গিয়ে জুতো খুলে ধর্নাস্থলে ঢুকেছিলেন সুজিতবাবু। ফিরে এসে আর জুতো পাননি। তাঁর দাবি, ‘আমি জুতো খুলে ভিতরে গিয়েছিলাম। এখন দেখছি জুতোটা মিসিং। তবে জুতো হারালেও আমাদের আন্দোলন চলবে। পুলিশ আমার পায়ে বুট দিয়ে চেপে দিয়েছে।’ পরে তাঁকে খালি পায়েই রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন নিজের মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আমার স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোনটি পকেট থেকে খোয়া গিয়েছে। আচমকাই দেখি, ফোনটি পকেটে নেই। আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজিও করা হয়। কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি।’ এদিকে বিজেপির দুই বিধায়কও তাঁদের মানিব্যাগ হারানোর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
এদিন বিকালে মহাত্মা গান্ধির জন্মদিনে বিধানসভায় মাল্যদান করতে এসেছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। মাল্যদান পর্বের পর রাজ্য সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিধানসভাতেই তাঁরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে সেখান থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদল যায় ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। বিধায়কদের মিছিল গান্ধীমূর্তির কাছে পৌঁছতেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। ব্যস্ততার জন্য বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বক্তৃতা শুরু করে দেন বিরোধী দলনেতা। বিধায়করা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি অস্থায়ী ছাউনির নীচে চলে যান।
বৃষ্টি থামতে ভিড় একটু হালকা হতেই প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস টের পান, পাঞ্জাবির ডান পকেটটি অনেকটাই হালকা লাগছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজের পাঞ্জাবির পকেটে হাত ঢোকালে বুঝতে পারেন, সেখানে রাখা টাকার ব্যাগ চুরি হয়ে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েক জন আশপাশে টাকার ব্যাগটি খোঁজার চেষ্টাও করেন। কিন্তু হারানো টাকার ব্যাগ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অগত্যা নিরাশ মনেই কলকাতা থেকে কৃষ্ণগঞ্জের দিকে রওনা দেন এই প্রাক্তন সেনাকর্তা। এর কিছু ক্ষণ পর তাঁর পাঞ্জাবির পকেট থেকেও টাকার ব্যাগ চুরি হয়েছে বলে জানতে পারেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ। অনেক খুঁজে তিনিও নিজের টাকার ব্যাগটি আর খুঁজে পাননি।