নিজস্ব প্রতিনিধি: মিঠুন চক্রবর্তীর (MITHUN CHAKRABORTY) দাবিকে কেন্দ্র করে ফের অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্মশিবির। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ৩৮ বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। এর মধ্যে না কি ২১ বিধায়ক সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন ‘জাত গোখরো’র সঙ্গে। এমনকি বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে হাসাহাসি। তবে ‘হাসার পাত্র’ নন বিরোধী দলনেতা ‘সিরিয়াস’ শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি বলেছেন, ‘বলতে পারব না’। আরও বলেছেন অনেক কিছুই। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মিঠুন বলেন, সবুজ শিবিরের ৩৮ বিধায়ক যোগাযোগ করছেন বিজেপির সঙ্গে। এর মধ্যে ২১ জন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মিঠুনের সঙ্গেই। আর এই কথা শোনার পরে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কয়েকজন বলেছেন, ‘ওঁর কাছে অভিনয় শিখতে পারি। রাজনীতি নয়’। শুধু কটাক্ষতেই আটকে থাকেনি বঙ্গ বিজেপির একটা বড় অংশ। পড়েছে হাসির রোল। উল্লেখ্য, এর আগে মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলার ফেরুয়া শিবির। কখনও নির্বাচনের আগে মিঠুন বলেছেন, ‘আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি’। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বিজেপিরই এক নেতা কটাক্ষ করে বলেছিলেন, রাজনীতিটা সিনেমা নয়। মাঠে নেমে রাজনীতি করতে জানতে হয়। কিছুদিন আগে বঙ্গ সফরে এসে মিঠুন সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলেন, বিজেপি ভাল করেছে তাতে তিনি গর্বিত। আবার দলীয় বৈঠকে তাঁর প্রশ্ন ছিল, বিজেপি এত হারছে কেন? দলের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিল, ওঁ সত্যিই মাঠের রাজনীতি বোঝেন না।
এর আগে এবং এবারেও মিঠুন বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দিদি ভাবেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁকে ভাই ভাবেন কি না জানেন না। তা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘যে দিদি রাজ্য সভার সাংসদ করলেন সেই দিদিকে ছুরি মেরে অন্য দলে গিয়ে ভাই এখন তাঁকে শেষ করতে চাইছেন’।
এদিন রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় মিঠুনের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে, এই প্রসঙ্গে। শিশির পুত্রের সাফ জবাব, ‘আমি জানি না। আমি এসব বলতে পারব না। যে বলছে তাঁর দায়িত্ব’। উল্লেখ্য, কলকাতায় থেকেও মিঠুনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু। যা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।