নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঁশদ্রোণী ব্রহ্মপুর এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত শম্ভু সর্দার ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এখনও পর্যন্ত এই গুলিকাণ্ডের এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে ধৃতদের কাছ থেকে একটি সাত এমএম দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই পিস্তল থেকেই বিশ্বনাথ সিং ওরফে বাচ্চাকে গুলি করা হয়েছিল৷ তবে আরেক ব্যবসায়ীকে অভিযুক্ত বাচ্চা সিং যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল, সেটির এখনও খোঁজ মেলেনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার প্রথমে মলয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বিশ্বনাথ সিং ওরফে বাচ্চাই৷ মলয়ের বুকের ডানদিকে গুলি লাগে। মলয় দত্তের অফিসে সেই সময় হাজির থাকা মলয়ের তিন সঙ্গীর মধ্যে শম্ভু বাচ্চাকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়৷ এর পর গুলিবিদ্ধ হয় বাচ্চা সিং। মোট তিন রাউণ্ড গুলি চলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুই ব্যবসায়ীর বিবাদের জেরে মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুর এলাকায় দিনেদুপুরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুই ব্যবসায়ী মলয় দত্ত এবং বিশ্বনাথ সিংকে ওইদিন তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুজনেই। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ৷ এখনও পর্যন্ত এই গুলিকাণ্ডের এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দিন যে অফিসে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে সেটি রয়েছে প্রিয়াজিৎ গ্রুপের নামে৷ যার মালিকের নাম উত্তম মণ্ডল৷ এই উত্তমের সঙ্গেই মলয় ও বিশ্বনাথ একদা একসঙ্গে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।